গতকাল ৮ জুলাই ছিল এমভি নাসরিন ট্রাজেডির ১৬ বছর। ২০০৩ সালের এই দিনে ঢাকা সদরঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া ভোলার লালমোহনগামী এমভি নাসরিন-১ লঞ্চ চাঁদপুরের ডাকাতিয়া নদীতে ডুবে ৪০২ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।
স্বজনহারাদের দায়ের করা মামলায় উচ্চ আদালত ১৭ কোটি ১১ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের রায় দিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি আজো। এ রায় দ্রুত কার্যকর দেখতে চায় নিহত/নিখোঁজ পরিবারের স্বজনরা। বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এন্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) ২০০৪ সালে ঢাকার তৃতীয় জেলা জজ আদালতে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ও পরিবারের পক্ষে যথাযথ ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা দায়ের করে। দুর্ঘটনার ১২ বছর পর ২০১৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারি নিম্ন আদালত ওই মামলার রায় ঘোষণা করে। ক্ষতিগ্রস্তদের ১৭ কোটি ১১ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদানের নির্দেশ প্রদান করেন। রায়ে ক্ষতিপূরণ বাবদ ১০ লাখ টাকা করে নিহতদের পরিবারকে, ১০ লাখ টাকা করে নিখোঁজদের পরিবারকে এবং ১ লাখ টাকা আহত ১ জনকে প্রদানের নির্দেশ প্রদান করা হয়।
ওই আদেশের বিরুদ্ধে বিআইডবিøউটিএসহ বিবাদী লঞ্চ মালিকপক্ষ ২০১৬ সালের ২৪ অক্টোবর হাইকোর্টে একটি রিভিশন আবেদন করে। চলতি বছরের ৫ জুন হাইকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল করিম এবং বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখেন। এর ফলে মামলার বাদীভ‚ক্ত ১২১ জন নিহতের স্বজনদের ১৭ কোটি ১১ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদানে আর কোন বাধা থাকে না। কিন্তু রায়ের পর বিআইডবিøউটিএ ও লঞ্চ মালিকপক্ষ কিভাবে ক্ষতিপূরণের টাকা শোধ করবে তা এখনো স্পস্ট হয়নি। মামলার রায়ের বাস্তাবায়ন হয়নি আজও।
মামলার রায় হতে ১৩ বছর লেগেছে, ক্ষতিপূরণের অর্থ পেতে আরো কত বছর লাগে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন নিহতদের স্বজনরা। তবে নিহত-নিখোঁজদের স্বজনরা দ্রুত রায়ের বাস্তবায়ন চান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন