শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

লাইফলাইনের সংযোগ সড়কগুলোর বেহাল দশা

মুন্সী কামাল আতাতুর্ক মিসেল : | প্রকাশের সময় : ৯ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাথে সংযোগ ও আঞ্চলিক সড়কগুলোর বেহাল দশা। এসব সড়কে চলাচলকারীদের ভোগান্তির শেষ নেই। এসব সড়কে যানবাহন চলাচল কঠিন হয়ে পড়েছে।

সামনে কুরবানির ঈদ। সে সময় পরিস্থিতি আরো নাজুক হয়ে পড়বে। এই অবস্থায় ঈদুল আযহার আগেই সড়কগুলো দ্রুত মেরামত করার প্রয়োজন বলে করছেন এই সড়কগুলো দিয়ে নিয়মিত চলাচলকালীরা। জোড়াতালির কাজ সারাবছর চললেও নেই টেকসই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও উদ্যোগ। চলতি বর্ষা মৌসুমে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন সংযোগ সড়কগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করা এখন সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সংযোগ সড়ক গৌরীপুর-চাঁদপুর সড়কটি ক্ষত বিক্ষত এই সড়কে চলাচলরত লাখ লাখ মানুষ যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। বর্তমানে সড়কটির খুবই বেহাল অবস্থায় রয়েছে। এছাড়া গৌরীপুর-হোমনা, মাধাইয়া-রহিমানগর ও গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া-আব্দুল্লাহপুর সংযোগ সড়কগুলোর বিভিন্ন স্থান জুড়ে দেখা যায় ক্ষত বিক্ষত। মাঝে মাঝে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এসব এলাকার মানুষ জেলা-উপজেলা ও রাজধানী ঢাকার সাথে যাতায়াত করেন এসব সড়ক দিয়ে। কিন্তু সড়কগুলোর পরিস্থিতি এতোটাই নাজুক যে যানবাহন ও পথচারীদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

গৌরীপুর-হোমনা সড়কের উপরিভাগের পাথর ও বিটুমিনের মিশ্রণ উঠে গিয়ে শতাধিক ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। একই অবস্থা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সংলগ্ন গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া-আব্দুল্লাহপুর সংযোগ সড়কটির বেহাল দশায় নাকাল অত্র অঞ্চলের ১০ হাজার সাধারণ মানুষ।

সড়কটি দিয়ে চলাচলকারী একাধিক গ্রামবাসী দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, বাউশিয়া ইউনিয়ন, পুরান বাউশিয়া, মনারকান্দি, কুটিপাড়া, দক্ষিন পাড়া, বক্তারকান্দিসহ আরো কয়েকটি গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ প্রতিদিন নানা প্রয়োজনে যাতায়াত করেন এ সড়ক দিয়ে।

সড়কে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় প্রায়ই ছোট যানবাহন বিকল হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা। নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজকর্ম করতে যাতায়াত করতে হয় ভবেরচর বাজারে। ব্যাটারি চালিত রিক্সার ড্রাইভারদের অভিযোগ মহাসড়ক দিয়ে যাতায়াত করা নিষিদ্ধ, তারপরেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। ধরা পড়লে রিক্সার ব্যাটারি খুলে নিয়ে যায় হাইওয়ে পুলিশ। এখন বিকল্প সড়কটিরও এমন দুর্দশা।

এদিকে গৌরীপুর-চাঁদপুর সড়কটি দিয়ে মতলব উত্তর-দক্ষিণ ও কচুয়া উপজেলার প্রায় ৬ লাখ মানুষ যাতায়াত করে থাকে বিভিন্ন যানবাহনে। কিন্তু সড়কের পরিস্থিতি এতোটাই নাজুক যে যানবাহন ও পথচারীদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

কচুয়া ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক ইসমাইল হোসেন জানান, আমি প্রতিদিন এই সড়কে কুমিল্লা থেকে আসা যাওয়া করি। কলেজের স্টাফ, ব্যাংক কর্মকর্তা, হাইস্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্র-ছাত্রী এই রাস্তায় প্রতিদিন যাতায়াত করে। দুইটি বাস যখন ক্রস করে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে এমনিভাবে কাত হয়ে মনে হয় যেন খালে উল্টে পড়ছে। তখন ভয়ে বুক ধরপর করে। কচুযার বাজারের ব্যবসায়ী মো. আনিসুর রহমান ভূঁইয়া জানান, সিমেন্টবাহী কন্টেইনার ট্রাক গৌরীপুর আসার পর কচুয়া অভিমুখে ঢুকতে চায় না ভাঙ্গাচুড়া রাস্তার কারণে। ঢাকা-মতলব সড়কের বাস চালক খোকন মিয়া ও মো. বাবুল মিয়া জানান বড় বড় গর্তে উঠা নামার কারণে গাড়ির গøাস, ফরম এক্সেল, ¯িপ্রং ভেঙে যায়।

কুমিল্লা সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন পাওয়া গেলে মেরামতের কাজ শুরু হবে। এছাড়াও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে মাধাইয়া-রহিমনাগর সংযোগ সড়কের এখন করুন দশায় পরিণত হয়েছে। সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

কুমিল্লা দক্ষিণ পশ্চিমাংশের চান্দিনা, বরুড়া, কচুয়া উপজেলার বিশাল জনগোষ্ঠির চলাচলের গুরুত্বপূর্ন যোগাযোগ সড়ক মাধাইয়া, নবাবপুর, রহিমানগর সড়কটি।

এ বিষয়ে কুমিল্লা সড়ক ও জনপথ বিভাগের কুমিল্লা আঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আহাদ উল্লাহ বলেন, বরাদ্দের অভাবে রাস্তাগুলো পুরাপুরি সংস্কার করা যাচ্ছে না। আংশিক সংস্কার করা করা হয়েছে। ফলে রাস্তাগুলো প্রতিবছরই বর্ষা মৌসুমে ভেঙেচুরে গর্তের সৃষ্টি হয়। তবে বরাদ্দ পেলেই কাজ করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন