টাঙ্গাইল-৮(সখিপুর-বাসাইল) আসনে বার বার বিএনপি মনোনীত প্রার্থী বিএনপি কেন্দ্রীয় জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান বলেন, ঐক্যফ্রন্টের ভবিষ্যৎ অন্ধকার এটা সুনিশ্চিত নয় বলে মনে করছি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নির্বাচনের পূর্বে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপ এবং সাত দফা প্রস্তাবের এক দফাও বাস্তবায়ন না হওয়ার পরেও নির্বাচনে যাওয়াও আমার কাছে তখনই মনে হচ্ছিলো ঐক্যফ্রন্টের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। নির্বাচনে যখন কেউ দাঁড়াতে পারছেন না তখন ও ড. কামাল হোসেন বললেন তারা শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকতে চান। তখন আমার কাছে মনে হয়েছে আসলে জোট করে খুব বেশি লাভবান হওয়া যাবে না। সোমবার বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ঐক্যফ্রন্ট ছেড়ে দেওযার ঘোষণায একথা বলেন বিএনপির ভাইস চেযারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম। বিএনপির এ নেতা বলেন, নির্বাচন পরবর্তী ঐক্যফ্রন্টের কোনো কর্মসূচি নেই এটা অকার্যকর একটি জোট। এমনকি ২০ দলীয় জোটেরও প্রয়োজন নেই। আগামীতে জোটের রাজনীতির বাস্তবতা নেই। একটা সময় ছিল জোট রাজনীতির প্রয়োজন ছিল। তবে দলগুলো নিজেরাই এখন সাংগঠনিকভাবে কাজ করতে পারে এবং আগামীতে যে আন্দোলন কর্মসূচি আসবে সেই আন্দোলন কর্মসূচিতে যুগপৎ করাটাই ভালো। আহমেদ আযম খান বলেন, জোট রাজনীতিতে সবচেয়ে বড় যে সমস্যাটি দেখা যায়, তা হলো নিজের দলীয় প্রার্থীকে বঞ্চিত করে অন্য দলের একজনকে প্রার্থী করা হয়। এতে দীর্ঘদিন ধরে দলের নিবেদিত ওই নেতা বা কর্মী ব্যক্তিগতভাবে এবং দলীয়ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, কাদের সিদ্দিকী দল(কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ) নামকাওয়াস্তে একটা রাজনৈতিক দল। তিনি অনেক পরেই ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেন। লাভবান হননি তাই ফিরে গেছেন। আমি মনে করি ঐক্যফ্রন্ট অস্তিত্ব সংকটে। এর কার্যক্রম এখন অকার্যকর। কাদের সিদ্দিকী ঐক্যফ্রন্টে এসেছিলেন সুবিধা নিতে, এখন দেখেছেন এখানে সুবিধা নেই তাই তিনি চলে গেছেন। উল্লেখ্য,টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি সাবেক সভাপতি ,বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান টাঙ্গাইল-৮(সখিপুর-বাসাইল)আসন থেকে বার বার বিএনপি মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন না পেলেও সখিপুর-বাসাইলের নেতা-কর্মীদের সার্বক্ষনিক খোঁজ-খবর রেখেছেন এবং রাজনৈতিক মামলায় যেসকল নেতৃবৃন্দ জেলহাজতে গিয়েছেন তাদের জামিন ও পরিবারের লোকজনের সাথে যোগাযোগ রেখেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন