শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দক্ষ সৃজনশীল শিক্ষকের অভাবের কারণে প্রকৃত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থী। বর্তমানে প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে সৃজনশীল পদ্ধতিতে পড়ালেখার প্রচলন রয়েছে। শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য সরকার প্রচলিত ধারার সৃজনশীল পরীক্ষা পদ্ধতি চালু করে। এটা এমন একটি শিক্ষা, যা শিক্ষার্থীদের তার পাঠ্যবইয়ের আলোকে উদ্দীপনা জাগাবে এবং ভাবতে শেখাবে ও একটি নতুন গল্পের ভঙ্গি তৈরি করতে পারবে। এসব বিষয়ের প্রতি শিক্ষার্থীদের কাছে উপস্থাপন না করতে পারলে তারা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে। সৃজনশীলে পারদর্শী নয়, এমন শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে অহরহ। ফলে পরীক্ষার ফল মহামারী আকার ধারণ করে। শিক্ষার গুণগত মানের অবনতির প্রধান কারণ হলো, শিক্ষাক্ষেত্রে সুস্পষ্ট ও বিস্তৃত শিক্ষানীতির অভাব। আবার অনেক শিক্ষক ক্লাসে গণিত বা কোনো কঠিন বিষয়ের প্রতি ক্লাস নিতে গেলে, শিক্ষার্থীদের বোঝাতে কষ্ট হলে ওই ক্লাসটা গল্প-গুজব দিয়ে কাটিয়ে দেন। তাছাড়া পরীক্ষার ফলের দিন দেখা যায়, অনেক শিক্ষার্থী কঠিন বিষয় ফেল করে বসে। মাঝেমধ্যে এমন খবর শোনা যায়, ফেল করা শিক্ষার্থী জনসমাজে মুখ দেখাতে লজ্জা পায়। পরে ওই শিক্ষার্থী আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। সৃজনশীল ও কর্মমুখী শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা হাতেকলমে শিক্ষা অর্জন করতে পারবে এবং পাশাপাশি জীবিকা অর্জনের পথ খুঁজে পাবে। তাই শিক্ষাকে গুণগত মানের দিক থেকে উন্নত করতে পারলেই জাতীয় জীবন এগিয়ে চলা সহজ হবে।
শিক্ষার্থী, মাদারীপুর।
মন্তব্য করুন