শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

চালুর আগেই ধস

সিডিএর সিটি আউটার রিং রোড

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

চালুর আগেই ধসে গেল সিটি আউটার রিং রোডের ওয়াকওয়ে। গতকাল শনিবার পতেঙ্গা চরপাড়ায় সৈকত এলাকায় বিশাল একটি অংশ ধসে পড়ে। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-সিডিএ ২,৫০০ কোটি টাকায় এ মেগাপ্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, জোড়াতালি দিয়ে নির্মাণ কাজ করায় এ অবস্থা হয়েছে। রিং রোডের পাশে ওয়াকওয়ে নির্মাণের জন্য মাটির বদলে সৈকতের বালি দিয়ে জায়গাটি ভরাট করা হয়। সেখানে কোনরকম রড না দিয়ে শুধুমাত্র আরসিসি ঢালাই করে দেয়া হয়। এ কারণে জোয়ারের তোড়ে নিচের বালি সরে যাওয়ায় ওয়াকওয়েটি ধসে পড়েছে। প্রবল জোয়ার অব্যাহত থাকায় পাঁচ কিলোমিটার ওয়াকওয়ের পুরোটাই সাগরে বিলীন হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের।
সিটি আউটার রিং রোডের প্রকল্প পরিচালক ও সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, সাগরে পানি বেড়ে যাওয়ায় ঢেউয়ের কারণে বøক সরে বিশাল অংশ দেবে গেছে। বৃষ্টি থেমে গেলে সেটি সংস্কার করা হবে বলেও জানান তিনি। স্থানীয়রা বলেন, এখনো ওয়াকওয়ে তৈরির কাজ শেষ হয়নি। এরমধ্যে সেটি ধেবে গেছে। সাগরের ঢেউয়ের কারণে চাপ বেশি পড়ে বলে সেখানে রড দিয়ে কংক্রিট (আরসিসি) ঢালাই করার দরকার ছিল। কিন্তু ওয়াকওয়েটি সিসি ঢালাই দিয়ে করা হয়েছে। নিম্নমানের কাজ হওয়ার কারণে চালুর আগেই সেটি ধসে পড়েছে।
প্রকৌশলীরা বলছেন, সাগরের পাশে কাজ করার সময় বিবেচনায় রাখতে হয় মাটি সরে যাবে। সেটি বিবেচনায় না রেখে এ ধরনের কাজ করা মানে অর্থ অপচয়। সাধারণত এ ধরনের কাজগুলো পাইলিংয়ের ওপর হয়। এছাড়া অতিরিক্ত ভরবহন করার প্রয়োজন হলে সেখানে প্রি-কাস্ট কংক্রিট পাইল ব্যবহার করা হয়। রিটেইনিং ওয়াল দিয়ে মাটি না সরার জন্য আলাদা কাস্টিং করতে হয়। ধসে পড়া ওয়াকওয়েটিতে হয়তো এ ধরনের কাজ করা হয়নি। তবে প্রকল্প পরিচালকের দাবি, ওয়াকওয়ের পাশে রিটেইনিং ওয়াল ছিল। সবকিছু বিবেচনা রেখে কাজ হয়েছে। ঢেউয়ের কারণে মাটি সরে যাওয়ায় ওয়াকওয়ে ধসে পড়েছে। সেগুলো সরানো হচ্ছে। পাশাপাশি ধসে পড়া স্থানগুলো পুন:নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত এর আগে এ প্রকল্পের অংশ হিসেবে পতেঙ্গা সৈকতে বসানো টাইলস উঠে যায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, সিমেন্টের বদলে মাটির উপরে টাইলস বসিয়ে দেয়া হয়। ফলে দর্শনার্থীদের পায়ের ধাক্কায় এসব টাইলস উঠে যায়। এ নিয়ে দৈনিক ইনকিলাবে সংবাদ প্রকাশিত হলে ব্যাপক তোলপাড় হয়। আর তখন সেখানে জরুরী ভিত্তিতে সংস্কার কাজ করা হয়। জাইকার সহযোগিতায় ২০১৬ সালের জুলাইয়ে চার লেনের এ সড়কটির নির্মাণ কাজ শুরু করে সিডিএ। উপকূলীয় বাঁধ কাম আউটার রিং রোড নির্মাণ নামে এ প্রকল্পের আওতায় পতেঙ্গা সৈকত থেকে ফৌজদারহাট পর্যন্ত ১৭ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ হচ্ছে। এরমধ্যে ১৫ দশমিক ২০ কিলোমিটার মূল ও ২ দশমিক ১৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক। এছাড়া প্রায় সাড়ে ৫ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে তৈরি করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রকল্পের বেশিরভাগ কাজ শেষ হয়েছে। ২০১৯ সালে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (5)
Md Harun Hashd ১৪ জুলাই, ২০১৯, ১:৫৫ এএম says : 0
আল্লাহ যা করে মানুষের ভালোর জন্য করে
Total Reply(0)
Live Projapti ১৪ জুলাই, ২০১৯, ১:৫৬ এএম says : 0
মাশাআল্লাহ্! চীন থেকে আমাদের প্রবৃদ্ধি,প্রযুক্তি এগিয়ে রয়েছে।
Total Reply(0)
Mamun Chowdhury Munna ১৪ জুলাই, ২০১৯, ১:৫৬ এএম says : 0
কেমনে পারে তারা আমরাও কষ্টকে কাজ করি এত বড় বাটপারি তাদের কি একটি বার দেশের কথা মনে পরে না
Total Reply(0)
Rubel Ahmed ১৪ জুলাই, ২০১৯, ১:৫৬ এএম says : 0
দুর্নীতির মহা উৎসব
Total Reply(0)
আরফাত ১৪ জুলাই, ২০১৯, ৫:১৪ পিএম says : 0
চোর। সরকারী এবং রাজনীতিবীদ উপরের লেভেল এ যারাই আচে।তারা সব চোর। টেন্ডারবাজ করে সব টাকা খেয়ে পেলে।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন