সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ ঘিরে গুজব ছড়ানোর দায়ে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে কুমিল্লা জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম টিম। গ্রেফতারকৃত যুবকের নাম খোকন মিয়া। সে কুমিল্লার তিতাস উপজেলার মাছিমপুর গ্রামের হাফিজ উদ্দিনের ছেলে।
গতকাল রোববার বেলা ১২টায় কুমিল্লা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আটক যুবক এবং পদ্মা সেতুর জন্য মানুষের মাথা প্রয়োজন এমন গুজবের বিষয়ে প্রেসব্রিফিং করেন পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বিপিএম (বার) পিপিএম। পুলিশ সুপার জানান, দেশের উন্নয়ন, শান্তি ও সম্প্রীতি বিনষ্ট করার জন্য একটি কুচক্রী মহল পদ্মা সেতু তৈরিতে মানুষের মাথা প্রয়োজন এমন গুজব স্যোশাল মিডিয়ায় প্রচারের মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টিসহ সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করছে। বিষয়টি নজরে আসার পর তার নির্দেশে জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম টিম ইউনিট মনিটরিং শুরু করে। টানা সাতদিন মনিটরিং শেষে শনিবার রাত সাড়ে দশটার দিকে খোকন মিয়া নামে এক যুবককে তিতাস থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
সে খোকন মিয়া নামে ফেসবুক আইডি ব্যবহারকারি। গত ৬ জুলাই সে তার আইডিতে ‘মাথা কাটা থেকে সাবধান হুশিয়ার’ এবং ১০ জুলাই ‘একটি বিশেষ সংবাদ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুমতিতে পদ্মা সেতু নির্মাণের লক্ষ্যে মানুষের মাথা খুব প্রয়োজন এবং মানুষের মাথা কেটে নেয়া হচ্ছে’ শিরোনামে দুইটি সংবাদ ফেসবুকে প্রচার করে। তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়ার পর জেলা পুলিশের সাইবার টিম ওই ফেসবুক আইডি ব্যবহারকারি খোকন মিয়াকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ সুপার জানান, তাকে কোর্টে প্রেরণ এবং রিমান্ডের আবেদন করা হবে। রিমান্ড মঞ্জুর হলে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যাবে পদ্মা সেতু নিয়ে এধরণের অপপ্রচারের পেছনে কারা জড়িত। তবে আটককৃত খোকন মিয়া প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফেসবুকে ওইসব বিভ্রান্তমূলক সংবাদ প্রচারের কথা স্বীকার করেছেন। প্রেসব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপারের পদোন্নতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ছালেহ তানভির ইমন, ডিআইও ওয়ান মাহবুব মোরশেদ, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মাইন উদ্দিন খানসহ পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন