বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

টিকটক ভিডিও বানাতে সুরমায় কিশোরের ঝাঁপ, অবশেষে মিললো লাশ

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৫ জুলাই, ২০১৯, ৬:৪৫ পিএম

টিকটক ভিডিও বানাতে সুরমা নদীকে ঝাঁপ দিয়েছিল সিলেটের আব্দুস সামাদ (১৮)। উদ্দেশ্য ছিল ধীরগতিতে (স্লো মোশনে) ভিডিও বানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করে বাহবা পাওয়ার! এ নিয়ে বন্ধুর সঙ্গে বাজিও ধরেছিল সে। কিন্তু সুরমায় ডুবে তার সে স্বপ্নের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজের ৩ দিন পর ভেসে উঠেছে তার লাশ।
সোমবার (১৫ জুলাই) তার মরদেহ সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজি এলাকা সংলগ্ন সুরমা নদীতে ভেসে উঠে। স্থানীয়রা নদীতে মরদেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
মহানগরের জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অকিল বলেন, দুর্ঘটনাস্থল আমাদের থানা এলাকায় হলেও মরদেহ যেখানে ভেসে উঠেছে ওই এলাকাটি বিশ্বনাথ থানার অধীভুক্ত। তাই ওই থানার পুলিশ মরদেহ উদ্ধারের পর সুরতহাল করে ওই হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
এর আগে শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়ক সংলগ্ন তেমুখি এলাকায় সুরমা নদীর শাহজালাল তৃতীয় সেতু থেকে ঝাঁপ দিয়ে স্লো-মোশনে টিকটক ভিডিও বানানোর জন্য বাজি ধরে তিন বন্ধু। পরিকল্পনা হলো সামাদ ও মিলন ঝাঁপ দেবে। আর ভিডিও করবে অভি। তাই-ই হয়েছিল। কিন্তু ঝাঁপ দেওয়ার পর মিলন সাঁতরে তীরে উঠলেও সামাদ পারেনি। মৃত আব্দুস সামাদ সিলেটের বাগবাড়ি প্রমুক্ত একতা ৪৪ নং বাসার আসাদ মঞ্জিলের মৃত সামসুল হকের ছেলে।
এ বিষয়ে তীরে ফিরতে পারা চিকিৎসাধীন মিলন ও তার বন্ধু অভি জানায়, এইদিন তারা তিনজনে বাগবাড়ি জামে মসজিদে আসরের নামাজ পড়ে সেতু থেকে স্লো-মোশনে নদীতে পড়ার ভিডিও ধারণের জন্য বাজি ধরে। তারা তিনবন্ধুই নগরীর বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণির শিক্ষার্থী।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন