জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ইন্তেকালে তার রংপুরের সংসদীয় আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে। ১৫ জুলাই সকালে সংসদ ভবনে এরশাদের জানাজা শেষ করার পরই বিকেলে তার সংসদীয় আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়।
মঙ্গলবার সংসদ সচিবালয়ে তা ছাপা আকারে সংসদে পৌঁছেছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন আইন শাখা-২ এর উপ-সচিব নাজমুল হক। তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী কোনো সংসদীয় আসন শূন্য ঘোষণা করা হলে তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
জানা যায়, গেজেটে উল্লেখ করা হয়েছে, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ১৪ জুলাই মৃত্যুবরণ করায় তার সংসদীয় আসন রংপুর-৩ শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে।
সংবিধানের ১২৩ (৪) দফায় বলা হয়েছে, ‘সংসদ ভাঙিয়া যাওয়া ব্যতীত অন্য কোনো কারণে সংসদের কোনো সদস্যপদ শূন্য হইলে পদটি শূন্য হইবার ৯০ দিনের মধ্যে উক্ত শূন্যপদ পূর্ণ করিবার জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে (তবে শর্ত থাকে যে, যদি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের মতে, কোনো দৈব-দুর্বিপাকের কারণে এই দফার নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে উক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব না হয়, তাহা হইলে উক্ত মেয়াদের শেষ দিনের পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে উক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে)।’
প্রসঙ্গত, সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে শেষ পর্যন্ত নিজ বাসভবন রংপুরের পল্লী নিবাসে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়েছে সাবেক প্রেসিডেন্ট ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদকে। মঙ্গলবার বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটে পল্লী নিবাসে এরশাদকে দাফন করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন