বাগমারায় রাতে মিজানুর রহমান (৫) নামে এক শিশুর গলাকাটা নিয়ে গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। এতে করে বাগমারাসহ আশপাশের উপজেলার জনসাধারনের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ভয়ে অনেক অভিভাবক শিশু ছেলেদের বাড়ির বাইরে যেতে দিচ্ছে না। সব সময় নজরে নজরে রাখছে আভিভাবকরা। বাগমারা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বার বার বলা হচ্ছে গুজবে কান দিবেন না। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতের কোন এক সময় উপজেলা সদর ভবানীগঞ্জ পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের সূর্যপাড়া মহল্লার আতিকুর রহমানের শিশুপুত্র মিজানুর রহমানের গলাকাটার চেষ্টা করা হয়েছে বলে পরিকল্পিত ভাবে গুজব ছড়ানো হয়েছে। বর্তমানে শিশুটি রাজশাহীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। শিশুর মা ফিরোজা বেগম বলেন পুরাতন সোকেজের ভাঙ্গা কাঁচের একটি অংশ গলার ওপরে পড়ে কিছুটা কেটে যায়। ওই সময় শিশুটি মেঝেতে ঘুমন্ত অবস্থায় ছিল। কাঁচ গলা ও বুকের ওপরে ভেঙ্গে পড়ায় শিশুটি কান্নাকাটি শুরু করে। পরে তাকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়। আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য গতকাল শুক্রবার রাজশাহী নিয়ে যাওয়া হয়।
এ ব্যাপারে ভবানীগঞ্জ পৌরসভার ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফয়েজ উদ্দীনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়লে বাগমারা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে প্রাথমিকভাবে তদন্ত করেছে। বাইরে থেকে কেউ এসে শিশুর গলা কেটেছে এমন কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ঘরের মেঝেতে ভাঙ্গা কাঁচ পড়েছিল।
এ প্রসঙ্গে বাগমারা থানার ওসি আতাউর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বলেন গুজবে কান দিবেন না। ঘটনাটি প্রাথমিকভাবে তদন্ত করা হয়েছে। বর্তমানে শিশুটি আশঙ্কামুক্ত। প্রাথমিক তদন্তে পুরাতন সোকেজের কাঁচ ভেঙ্গে শিশুটির গলার ওপরে পড়ে ফলে গলার কিছু অংশ কেটে যায়। এই সামান্য ঘটনাটি বিভিন্নভাবে অপপ্রচার করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে ভবানীগঞ্জ পৌর মেয়র আ. মালেক মন্ডলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি অফিসিয়াল কাজে ঢাকাতে রয়েছি। তবে বাইরে থেকে এসে কেউ শিশুর গলা কেটেছে এমন কোন তথ্য প্রমাণ স্থানীয়রা পাননি বলে জানিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, আতঙ্কিত হওয়ার মতো কোন ঘটনা ঘটেনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন