পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার রোগীদের দুয়ারে আসছে ভাসমান হাসপাতাল। নদী বেষ্টিত উপজেলার নদী যখন রোগীদের হাসপাতালে যেতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে, তখন রোগীদের পাশে চিকিৎসাসেবা দিতে উপস্থিত এ ‘ইমপ্যাক্ট জীবনতরী’ ভাসমান হাসপাতাল।
বৃহস্পতিবার উপজেলার ছারছীনা এলাকার সন্ধ্যা নদীতে হাসপাতালটি নোঙ্গর করে।
ইতোমধ্যে এ হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা নিতে গ্রাম-গঞ্জ ছাড়াও ভিড় জমাতে শুরু করে দিয়েছে দূরদূরান্তের মানুষ।
প্রতিদিন ভোর ৬টা থেকে ওই স্থানে রোগী ভিড় করতে শুরু করে। রোগীদের বসার জন্য নদীর পাড়ে ভাসমান ওই হাসপাতালের পক্ষ থেকে অস্থায়ী ব্যবস্থা করা হয়েছে। রয়েছে টিকিট কাউন্টার। কাউন্টার টাকা দিয়ে টিকেট কেটে সিরিয়াল করে রোগী দেখা হচ্ছে।
সকাল নয়টা রোগীর সংখ্যা বুঝে অনেক সময় বিকাল পর্যন্ত চলে রোগী দেখার পালা। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা এখানে চলে রোগীদের ব্যবস্থা পত্র। অবস্থা ভেদে নাক, কান, গলা অপারেশন, হাড়ভাঙা, ক্লাব ফুট (মুগুর পা) এবং ঠোঁট কাটা রোগীদের ভাসমান হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
হাসপাতালের প্রশাসক মো. আলাউদ্দিন ও প্রেগ্রাম কো অর্ডিনেটর মো.ইনামুর রহমান বাবু জানান, এ উপজেলা ছাড়াও পাশ্ববর্তী কাছাকাছি উপজেলা অঞ্চলের মানুষের আহ্বানে তারা রোগীদের দুয়ারে চিকিৎসা দিতে আসছেন।
তিনি আরো জানান, এ হাসপাতালে সব শ্রেনী পেশার মানুষ স্বল্প খরচে চিকিৎসা সেবা নিতে পারে বিধায় তারা দাবীতে তারা এখানে আসছেন।তারা আরো জানান এখানে চক্ষু,নাক-কান-গলা, অর্থপেডিকসসহ বাকা হাত-পা সোজাকরার চিকিৎসা দেওয়া হয়। জটিল রোগী হলে বা অপারেশনের জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ঢাকা থেকে চলে আসেন। তাছাড়া,হাসপাতালে জটিল রোগী আনা নেওয়ার জন্য নদী পথে স্পীড বোট ও সড়ক পথে এম্বুলেন্স সার্বক্ষনিক প্রস্তুত রাখা হয়। জরুরী প্রয়োজনে বিমানে(সি প্লেন) করে চিকিৎসকরা চলে আসেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন