শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

মশক ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীর তথ্য ডিএনসিসির ওয়েবসাইটে

স্টাফ রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ২১ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) আওতাধীন এলাকার বাসিন্দারা এখন নিজেরাই জেনে নিতে পারবেন নিজ নিজ এলাকার মশক ও পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের বিস্তারিত তথ্য। এসব কর্মীদের নাম ও মোবাইল নাম্বারের পাশাপাশি তাদের তদারকিকারী কর্মকর্তাদের নাম ও মোবাইল নাম্বার দেওয়া আছে ডিএনসিসি’র ওয়েবসাইটে।
ডিএনসিসি সূত্রে জানা যায়, স্বাস্থ্য বিভাগের অধীন মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালিত হয়। আর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধীন কাজ করেন পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা। এসব বিভাগের অধীন এসব কর্মীরা কোনদিন কোনসময়ে কোন কোন এলাকায় কাজ করবেন তার বিস্তারিত তথ্য দেওয়া আছে ডিএনসিসি’র ওয়েবসাইটে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নগরবাসী যেন নিজেরা নিজেদের কাক্সিক্ষত সেবা আরও সহজে বুঝে নিতে পারেন সেজন্য এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে।
ডিএনসিসি প্রকাশিত কর্মপরিকল্পনা থেকে দেখা যায়, ডিএনসিসির পাঁচটি অঞ্চলের ৩৬টি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডভিত্তিক মশককর্মীদের নাম ও মোবাইল নাম্বার দেওয়া আছে। এসব কর্মীদের তদারকির জন্য থাকবেন একজন মনিটরিং সুপারভাইজার এবং একজন মনিটরিং অফিসার। একইসঙ্গে প্রতিটি ওয়ার্ডের ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনোনীত একজন ব্যক্তিও থাকবেন মশককর্মীদের কাজের তদারকিতে। তাদের সবার নাম, পরিচয় এবং মোবাইল নাম্বার দেওয়া আছে ডিএনসিসির ওয়েবসাইটে।
ডিএনসিসি’র স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, প্রতি সপ্তাহের শনিবার ও মঙ্গলবার নির্দিষ্ট এলাকার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত মশককর্মী তার এলাকায় মশার ওষুধ বিতরণ করবেন। নির্দেশনা অনুযায়ী, সকাল ৮টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত দিতে হবে লার্ভিসাইডিং এবং সূর্যাস্তের এক ঘণ্টা আগে থেকে এক ঘণ্টা পর পর্যন্ত দিতে হবে অ্যাডাল্টিসাইডিং। এছাড়াও মশককর্মীরা ঠিকমত সময়ে এবং যথাযথ উপায়ে মশক ওষুধ দিয়েছেন কিনা তা নিশ্চিতে প্রতিটি ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে নির্ধারিত সাতজন নাগরিক প্রতিনিধি। ওষুধ বিতরণের পর এদের মধ্যে অন্তত চারজন প্রতিনিধির স্বাক্ষর নিতে হবে মশককর্মীদের।
পুরো উদ্যোগ সম্পর্কে ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মমিনুর রহমান মামুন বলেন, পুরো প্রক্রিয়ায় চারটি বিশেষ দিক আছে। প্রথমত, নাগরিকেরা নিজেরা আগে থেকে অবগত থাকতে পারছে যে, কোনদিন কখন কে তাদের এই সেবাটা দেবে। আর যদি না দেয় তাহলে তারা নিজেরাই তদারকি করতে পারবে। মশক কর্মীকে না পেলে সুপারভাইজারকে জানাবে, তাকে না পেলে সুপারভাইজিং অফিসারকে জানাবে। ফলে মশককর্মীদের তদারকি করার জন্য সিটি কর্পোরেশনকে আলাদা লোকবল রাখতে হবে না। নাগরিকেরাই সেই খেয়াল রাখবে। কোনো অভিযোগ এলে আমরা শুধু ব্যবস্থা নেবো।
দ্বিতীয়ত, সাতজনের মধ্যে অন্তত চারজনের স্বাক্ষর নিতে হবে মশককর্মীদের। এদিক থেকে আমাদের তদারকি কার্যক্রমও আরও সহজ হলো।
তৃতীয়ত, আমরা এটিকে একটি নোটবুক আকারে ছড়িয়ে দিতে চাইছি। প্রতিদিনের কাজের হিসেব ওয়ার্ডের কিছু নির্দিষ্ট ব্যক্তির কাছে দেবেন মশককর্মীরা যা নোটবুকে লিপিবদ্ধ হবে।
আর সর্বশেষ দিক হচ্ছে যে, আমরা একটি ‘অ্যাপ’ তৈরি করতে চাইছি এবং মশক যন্ত্রগুলোতে চিপ বসাতে চাইছি। এসব চিপ থেকে জানা যাবে যে, কোন এলাকায় কোন সময়ে কতটুকু ওষুধ মশককর্মীরা দিয়েছেন। সব তথ্য সরাসরি অ্যাপে চলে আসবে।
ডিএনসিসির এই কর্মকর্তা আরও বলেন, মশককর্মীদের নিয়ে প্রায়ই আমরা অভিযোগ পাই। সেসব থেকে মেয়র এমন একটি উদ্যোগের প্রস্তাবনা দেন। প্রাথমিকভাবে শুরু করলাম। হয়তো কিছু সমস্যা বের হবে। কোনো এলাকার কোনো মশককর্মী হয়তো কোনোদিন অসুস্থ থাকবেন। তবুও তাদের কাজের পর্যবেক্ষণ এবং জবাবদিহিতা প্রায় ৯০ শতাংশ নিশ্চিত হবে এতে।
অন্যদিকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধীন পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের নাম ও মোবাইল নাম্বার প্রকাশ করা হয়েছে ওয়েবসাইটে। একইসঙ্গে প্রতিটি কর্মীর জন্য নির্ধারিত এলাকার বিস্তারিতও উল্লেখ করা আছে সেখানে। অঞ্চল-২ থেকে অঞ্চল-৫ পর্যন্ত এলাকার পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের তালিকা আছে এতে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন