শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সম্পাদকীয়

বন্যায় জনসচেতনতার বিকল্প নেই

আবু সালেহ মোহাম্মদ সায়েম | প্রকাশের সময় : ২৩ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রতিবছর বাংলাদেশের প্রায় ২৬,০০০ বর্গ কিমি অঞ্চল অর্থাৎ ১৮ শতাংশ ভ‚খন্ড বন্যা কবলিত হয়। ব্যাপকভাবে বন্যা হলে সমগ্র দেশের ৫৫ শতাংশের অধিক ভ‚খন্ড বন্যাকবলিত হয়। প্রতিবছর গড়ে বাংলাদেশে তিনটি প্রধান নদীপথে মে থেকে অক্টোবর পর্যন্ত আর্দ্র মৌসুমে ৮৪৪,০০০ মিলিয়ন কিউবিক মিটার পানি প্রবাহিত হয়। বাৎসরিক মোট প্রবাহের এটি ৯৫ শতাংশ। একই সময় দেশের অভ্যন্তরে ১৮৭,০০০ মিলিয়ন কিউবিক মিটার নদী প্রবাহ সৃষ্টি হয় বৃষ্টিজনিত কারণে।

বাংলাদেশে সংঘটিত বন্যাকে তিনটি শ্রেণিতে বিভক্ত করা যায়: ক) মৌসুমি বন্যা: এই বন্যা ঋতুগত, নদনদীর পানি ধীরে ধীরে উঠানামা করে এবং বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত করে জানমালের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে; খ) আকস্মিক বন্যা: আকস্মিক পাহাড়ি ঢল অথবা স্বল্প সময়ে সংঘটিত প্রবল বৃষ্টিপাত থেকে কিংবা প্রাকৃতিক অথবা মানবসৃষ্ট বাঁধ ভেঙে সংঘটিত হয়; এবং গ) জোয়ারসৃষ্ট বন্যা: সংক্ষিপ্ত স্থিতিকাল বিশিষ্ট এই বন্যার উচ্চতা সাধারণত ৩ থেকে ৬ মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে এবং ভ‚ভাগের নিষ্কাশন প্রণালীকে আবদ্ধ করে ফেলে।

বাংলাদেশের বন্যা সংঘটনের জন্য দায়ী উল্লেখযোগ্য কারণগুলো হলো: সাধারণভাবে নিম্ন উচ্চতাবিশিষ্ট ভ‚সংস্থান যার উপর দিয়ে প্রধান প্রধান নদী প্রবাহিত হয়েছে। দেশের বাইরে নদনদীর উজান এলাকায় এবং দেশের অভ্যন্তরে ভারি বৃষ্টিপাত, হিমালয় পর্বতে তুষার গলন এবং প্রাকৃতিকভাবে হিমবাহের স্থানান্তর সংঘটন, পলি সঞ্চয়নের ফলে নদনদীর তলদেশ ভরাট হয়ে যাওয়া, নদীর পার্শ্বদেশ দখল হয়ে যাওয়া, ভ‚মিধ্বস সংঘটন, প্রধান প্রধান নদীসমূহে একসঙ্গে পানি বৃদ্ধি এবং এক নদীর ওপর অন্য নদীর প্রভাব বিস্তার, প্রকৃতির ওপর মানবীয় হস্তক্ষেপ, জোয়ারভাটা এবং বায়ুপ্রবাহের বিপরীতমুখী ক্রিয়ার ফলে নদনদীর সমুদ্রমুখী প্রবাহ ধীরগতি প্রাপ্ত হওয়া, সমুদ্রপৃষ্ঠের পরিবর্তনের প্রতিক্রিয়া, ভ‚-গাঠনিক বিশৃঙ্খলা (ভূমিকম্প, নদীর প্রবাহ ও ভূরূপতত্তে¡ পরিবর্তন), গ্রিন হাউজ প্রতিক্রিয়া প্রভৃতি।

এ যাবৎকালে বাংলাদেশে প্রায় ত্রিশটি বন্যা হয়েছে।এর মধ্যে ঢাকা জেলার ২য় প্রলয়ংকরী বন্যাটি হয় ৮ জুন ১৯৬৬। ঐ বন্যায় সিলেট জেলাতেও বড় ধরনের বন্যা দেখা দেয়। বন্যা ছাড়াও ১৯৬৬ সালের ১২ জুন সকালে এক প্রচন্ড ঝড়ে জেলার পরিস্থিতি আরও মারাত্মক হয়ে ওঠে। এতে প্রায় ২৫% ঘরবাড়ি এবং প্রায় ১২ লাখ লোক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। একই বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর ৫২ ঘণ্টা একনাগাড়ে বৃষ্টির ফলে ঢাকা শহর প্রায় ১২ ঘণ্টা যাবত ১.৮৩ মিটার পানির তলে নিমজ্জিত ছিল। ১৯৮৭’র জুলাই-আগস্ট মাসে বন্যায় বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটে প্রায় ৫৭,৩০০ বর্গ কিমি এলাকা ক্ষতিগ্রস্থ (সমগ্র দেশের ৪০% এরও অধিক এলাকা) হয়। ১৯৮৮ আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে বন্যায় ভয়ংকর বিপর্যয় ঘটে, প্রায় ৮২,০০০ বর্গ কিমি এলাকা ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এ ধরনের বন্যা ৫০-১০০ বছরে একবার ঘটে। বৃষ্টিপাত এবং একই সময়ে (তিন দিনের মধ্যে) দেশের তিনটি প্রধান নদীর প্রবাহ একই সময় ঘটার ফলে বন্যার আরও ব্যাপ্তি ঘটে। এ বন্যায় ঢাকাসহ সমগ্র দেশের ৬০% এরও অধিক এলাকা ১৫ থেকে ২০ দিন নিমজ্জিত ছিল। এছাড়াও ১৯৯৮ সালের বন্যায় দেশের দুই-তৃতীয়াংশ এলাকা নিমজ্জিত ছিল। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল গবাদি পশু, ঘর-বাড়ি, আবাদি জমি।

প্রবল বর্ষণ আর উজান থেকে পাহাড়ি ঢলের কারণে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার উপর প্রবাহিত হচ্ছে। ধরলা নদীর পানিও বিপদসীমা ছুঁইছুঁই হয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্রধান এই দুই নদীসহ জেলার সবকটি নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এর ফলে অবনতি হয়েছে লালমনিরহাটের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির। প্লাবিত হয়েছে নতুন নতুন এলাকা। পানিবন্দি জীবন-যাপন করছেন জেলার ১৯টি ইউনিয়নের ৬০টি গ্রামের অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ। কুষ্টিয়ায় নদ-নদীর পানির উচ্চতা প্রতিদিন গড়ে ৬ ইঞ্চি করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত এক সপ্তাহে পদ্মা ও গড়াইয়ে পানি বৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি। নিবন্ধটি লেখার সময়, কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। এতে জেলার প্রায় আড়াই লাখ মানুষ বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। কুড়িগ্রাম-ভূরুঙ্গামারী ও কুড়িগ্রাম-যাত্রাপুরে অনেক স্থানে সড়কের ওপর দিয়ে পানি বয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। এই সড়কের শুকনো স্থানে বন্যাকবলিত পরিবারগুলো আশ্রয় নিয়েছে। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতি বর্ষণে বগুড়ায় যমুনা নদীর পানি বেড়ে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনার পানি বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।এমন সব খবরে অমরা সবাই শংকিত। আমরা পেরেছি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে? দেশের বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, “আমাদের সর্বত্র প্রস্তুতি রয়েছে, আমরা যেকোনো ধরনের সংকটের মুখোমুখি হতে পারি, কিন্তু আমাদের অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে যাতে বন্যার কারণে মানুষের ক্ষতি না হয়।”

বন্যায় যোগাযোগ ব্যবস্থা, ঘর বাড়ি, শস্যক্ষেত্র, গবাদিপশু ইত্যাদির ক্ষতির সাথে সাথে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির আশঙ্কা দেখা যায়। বন্যার সময় বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে থাকে। কখনো কখনো রোগগুলো মহামারি আকারও ধারণ করতে পারে। এ সময় স্বাস্থ্যসচেতন না হলে দেখা দিতে পারে ডায়রিয়া, আমাশয়, টাইফয়েড, পেটের পীড়া, ভাইরাল হেপাটাইটিস, চর্মরোগসহ নানা রোগ।

বন্যার সময় পানির উৎস দূষিত হয়ে যায়। তাই পানি ভালোমতো ফুটিয়ে ঠান্ডা করে পান করাসহ গৃহস্থালির অন্যান্য কাজেও ব্যবহার করতে হবে। বন্যার পানিতে টিউবওয়েল তলিয়ে গেলে এক কলস পানিতে তিন-চার চা চামচ বিøচিং পাউডার মিশিয়ে টিউবওয়েলের ভিতর সেই পানি ঢেলে আধাঘণ্টা রেখে এরপর একটানা আধাঘণ্টা চেপে পানি বের করে ফেলে দিলে সেই পানি খাওয়ার উপযোগী হতে পারে। বিøচিং পাউডার না থাকলে ১ ঘণ্টা টিউবওয়েলের পানি চেপে বের করে ফেলতে হবে। তবে নিরাপত্তার জন্য টিউবওয়েলের পানিও ভালোমতো ফুটিয়ে নেওয়া উচিত। পানি ছেঁকে জ্বলন্ত চুলায় একটানা ৩০ মিনিট টগবগিয়ে ফুটিয়ে তারপর ঠান্ডা করতে হবে। পানি ফোটানোর ব্যবস্থা না থাকলে প্রতি দেড় লিটার খাওয়ার পানিতে ৭.৫ মিলিগ্রাম হ্যালোজেন ট্যাবলেট, তিন লিটার পানিতে ১৫ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট এবং ১০ লিটার পানিতে ৫০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট আধাঘণ্টা থেকে ১ ঘণ্টা রেখে দিলে বিশুদ্ধ হয়। পানির ট্যাংকের প্রতি এক হাজার লিটার পানিতে ২৫০ গ্রাম বিøচিং পাউডার ১ ঘণ্টা রাখলে বিশুদ্ধ হবে। অবশ্য এ পদ্ধতিতে ভাইরাস জীবাণু ধ্বংস হয় না।

বন্যায় পচা-বাসি খাবার খেতে বাধ্য হয় অসংখ্য মানুষ। ফলে ছড়িয়ে পড়ে ডায়রিয়াসহ অন্যান্য আন্ত্রিক রোগ। খিচুড়ি খাওয়া এ সময় স্বাস্থ্যোপযোগী। খাবার প্লেট সাবান ও নিরাপদ পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। পানি বেশি খরচ হয় বলে অনেকে প্রথমে একবার স্বাভাবিক পানিতে থালাবাসন ধুয়ে তারপর ফোটানো পানিতে ধুয়ে নেন। কিন্তু এটা ঠিক নয়। এতে থালাবাসনে অনেক ধরনের জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে, যা পরে পরিষ্কার পানিতে ধুলেও দূর হতে চায় না। তাই খাবার গ্রহণের আগে থালাবাসন পরিষ্কার বিশুদ্ধ পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।

বন্যার সময় মলত্যাগে সতর্কতা অবলম্বন খুব জরুরি। যেখানে-সেখানে মলত্যাগ করা উচিত নয়। এতে পেটের পীড়া ও কৃমির সংক্রমণ বেড়ে যায়। সম্ভব হলে একটি নির্দিষ্ট স্থানে মলত্যাগ করতে হবে এবং মলত্যাগের পরে সাবান বা ছাই দিয়ে ভালো করে হাত ধুয়ে ফেলতে হবে। মলত্যাগের সময় কখনো খালি পায়ে থাকা চলবে না। কেননা বক্রকৃমির জীবাণু খালি পায়ের পাতার ভিতর দিয়ে শরীরে সংক্রমিত হয়। এ সময় বাসার সবাইকে কৃমির ওষুধ খাওয়ানো উচিত। তবে দুই বছর বয়সের নিচের শিশুদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

বন্যায় প্রধান স্বাস্থ্য সমস্যা ডায়রিয়া। এ জন্য খাওয়ার আগে সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুতে হবে। পায়খানা করার পর হাত একইভাবে পরিষ্কার করতে হবে। ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা শুরু হলে পরিমাণমতো খাওয়ার স্যালাইন খেতে হবে। দুই বছরের কম শিশুকে প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর ১০-১২ চা চামচ এবং ২ থেকে ১০ বছরের শিশুকে ২০ থেকে ৪০ চা চামচ খাওয়ার স্যালাইন দিতে হবে। খাওয়ার স্যালাইন বা ওআরএস না থাকলে বিকল্প হিসেবে লবণ-গুড়ের শরবত খাওয়াতে হবে। পাশাপাশি ভাতের মাড়, চিঁড়ার পানি, ডাবের পানি, কিছু পাওয়া না গেলে শুধু নিরাপদ পানি খাওয়ানো যেতে পারে। এ সময় শিশুর পুষ্টিহীনতা রোধে খিচুড়ি খাওয়ানো যেতে পারে। ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুলও খাওয়ানো যেতে পারে। যদি পাতলা পায়খানা ও বমির মাত্রা বেড়ে যায়, তাহলে নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে। বন্যায় চর্মরোগ হতে পারে। যতটা সম্ভব শরীর শুকনো রাখতে হবে। একই গামছা বা তোয়ালে অনেকজন ব্যবহার করবেন না। চোখের প্রদাহ হলে নিজেকে অন্যদের কাছ থেকে গুটিয়ে রাখবেন। কেননা সমস্যাটি ভাইরাসজনিত হলে তা অন্যদের মাঝেও সংক্রমিত হবে। চোখের ড্রপ হাতের কাছে রাখতে হবে। নিকটস্থ স্বাস্থ্যকর্মী বা চিকিত্সকের পরামর্শক্রমে তা ব্যবহার করতে হবে। চোখে অন্য কোনো সমস্যা দেখা দিলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। বন্যায় মশার উপদ্রব বেড়ে যায়। ব্যাপক মশা নিধনের ব্যবস্থা না করলে ম্যালেরিয়া হতে পারে। কফ, কাশি, শ্বাসকষ্ট নিয়ে নিউমোনিয়া, ব্রংকাইটিস প্রভৃতি হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হয়।এজন্য শিশুদেও প্রতি বাবা মা বা বয়স্কদের বিশেষ নজর দিতে হবে।

আকস্মিক নানা দুর্ঘটনা, যেমন: বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা, পানিতে ডুবে যাওয়া, সাপ ও পোকামাকড়ের কামড়ের ঘটনাগুলো বেশি ঘটে। এ বছরের বন্যায় সাপের কামড়ে মারা গেছে অনেক মানুষ। এ ছাড়া পানির নিচে বহু বৈদ্যুতিক টাওয়ার, খুঁটি, ট্রান্সফরমার লাইনের তার ডুবে থাকে। এসব বৈদ্যুতিক লাইনের নিচ দিয়ে নৌকা বা ভেলা চালানো বা চলাচলের ক্ষেত্রে খুব সতর্ক হতে হবে। বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে গেলে বা পানিতে পড়ে থাকতে দেখলে তা স্পর্শ না করে বিদ্যুৎকর্মীদের জরুরিভাবে খবর দিতে হবে।

মনে রাখতে হবে বন্যা কোন পাপের ফল নয়। প্রকৃত অর্থে বন্যা এক প্রাকৃতিক বিপর্যয়। ইতিহাসের সকল বিপর্যয়েরই জের টানতে হয়েছে গোটা জাতিকে। বন্যা কাউকে এককভাবে নয় বরং পুরো দেশকে ক্ষতি করে। তাই এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়কে মোকাবেলা করতে হলে সম্মিলিত প্রয়াস চালাতে হবে। বন্যাকে নিয়তির লিখন হিসেবে চিহ্নিত না করে বন্যায় যে সকল সমস্যা দেখা দিতে পারে তার নিরসন করতে কার্পণ্য করা উচিত নয়। বন্যা প্রতিরোধে সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি জনসচেতনতাই পারে বন্যাকবলিত মানুষের ঝুঁকি অনেকাংশে কমিয়ে দিতে।

লেখক: শিক্ষক, বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন