শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

দক্ষিণে অনাবৃষ্টি আমন উৎপাদন ঝুঁকিতে

নাছিম উল আলম : | প্রকাশের সময় : ২৪ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

 দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টির অভাবে আমন উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা ক্রমশ বাড়ছে। কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের মতে, চলতি আমন মৌসুমে দেশে ৫৮ লাখ ৭৬ হাজার হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যে দুই লাখ ৬০ হাজার হেক্টরে বিভিন্ন ধরনের বীজতলা তৈরির লক্ষ্য নির্ধারিত হয়েছে। বৃষ্টির অভাবে দক্ষিণাঞ্চলে রোপা আমনের জমি তৈরি দুরুহ হয়ে পড়ছে অনেক এলাকায়। চলতি মৌসুমে সারা দেশের মত দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টির ব্যাপক ঘাটতি অব্যাহত রয়েছে। চলতি মৌসুমে রোপা ও বোনা আমন থেকে ১ কোটি ৫৩ লাখ ৫৮ হাজার টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়।

মাঠ পর্যায়ে কৃষিবিদদের মতে, বৃষ্টির অভাবে এবার আমন আবাদ ও উৎপাদন ঝুঁকির মুখে রয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টির অভাবে এবার আউশ উৎপাদন লক্ষ্য অর্জিত হয়নি। আমন বীজতলা তৈরির লক্ষ্য ৯০ ভাগ অর্জিত হলেও বৃষ্টির অভাবে বীজ রোপনের জমি তৈরি দুরুহ হয়ে পড়ছে।
ফলে কৃষকের দুঃশ্চিন্তাও ক্রমশ বাড়ছে। চলতি মৌসুমে বরিশাল কৃষি অঞ্চলে প্রায় ৭ লাখ ৯ হাজার হেক্টরে রোপা ও বোনা আমন আবাদের মাধ্যমে উৎপাদিত ধান থেকে ১৬ লাখ ২৫ হাজার টন চাল প্রাপ্তির লক্ষ্য স্থির করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়। তবে কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল সূত্রের মতে, পুরো শ্রাবণ মাস জুড়ে আমন বীজতলা তৈরি করা যাবে। ভাদ্র মাস জুড়ে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে আমন রোপন সম্ভব হবে।
গতবছর দেশে লক্ষ্যমাত্রার ১০৮%, ৫৮ লাখ ৭৬ হাজার হেক্টর জমিতে উৎপাদিত আমন ধান থেকে ১ কোটি ৫৩ লাখ ৩৬ হাজার টন চাল উৎপাদিত হয়। পাশাপাশি বিগত রবি মৌসুমে দেশে বোরো আবাদের পরিমাণ ছিল ৪৯ লাখ ৯ হাজার ১৫২ হেক্টর। যা লক্ষ্যমাত্রার ১০৫% এর বেশি। ফলে ১ কোটি ৯৬ লাখ টন উৎপাদন লক্ষ্য অতিক্রম করে দেশে সর্বকালের সর্বাধিক পরিমাণ ২ কোটি ৩ লাখ টন চাল পাওয়া যায় বোরো ধান থেকে। বরিশাল ও ফরিদপুর অঞ্চলের ১১টি জেলায় বোরো আবাদ ছিল ১২০% এর মত। যার মধ্যে বরিশাল বিভাগের ছয়টি জেলাতে লক্ষমাত্রা প্রায় ১২৮% জমিতে বোরো আবাদ সম্পন্ন হয়।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট গত বছর ব্রি ধান-৮৭ নামের একটি হাইব্রীড জাতের আমন ধান উদ্ভাবন করেছে। যার ফলন হেক্টর প্রতি ৬ টন বলে জানা গেছে। এটি আমন মৌসুমের আগাম জাত। কৃষকের মাঠে ফলন পরীক্ষায় এ জাত আমন জাত ব্রি ধান-৪৯ এর চেয়ে সাত দিন আগে পাকছে বলে ব্রি’র মহাপরিচালক জানিয়েছেন । এজন্য আমন মৌসুমের আগাম জাত হিসেবে ‘ব্রি ধান-৮৭’ চ‚ড়ান্ত ভাবে নির্বচিত হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। ‘ব্রি’ উদ্ভাবিত উফশী জাতের ধানের সংখ্যা এখন প্রায় ১শ’। এর মধ্যে ছয়টি হাইব্রিড, অন্যগুলো ইনব্রিড। দেশে ধান উৎপাদন বৃদ্ধিতে ব্রি অত্যন্ত গৌরবজ্জল ভ‚মিকা পালন করছে।

বাংলাদেশ ধান গবেষনা ইনস্টিটিউটের মতে, বাংলাদেশ ধান উৎপাদনে বিশ্বের ৪র্থ অবস্থানে রয়েছে। তবে আমাদের দেশে ধানের হেক্টর প্রতি গড় ফলন এখনো ৪.০১ টন। যা চীন, জাপান ও কোরিয়াতে ৫-৬ টন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন