বর্তমানে ফ্যাটি লিভার নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে। এখন অনেক ফ্যাটি লিভারের রোগী পাওয়া য়ায়। লিভার হেপাটোসাইট কোষ নিয়ে গঠিত। লিভারে অতিরিক্ত চর্বি জমা হলে তাকে ফ্যাটি লিভার বলে। মানুষ যখন প্রয়োজনের তুলনায় বেশী চর্বিগ্রহণ করে তখন তা শরীরে জমা হয়। তবে বেশী চর্বি খাওয়া ছাড়াও আরো বিভিন্ন কারণে লিভারে চর্বি জমতে পারে।
বিভিন্ন কারণে ফ্যাটি লিভার হতে পারে। এর মধ্যে আছে-
১। স্থুলতা ২। ডায়াবেটিস ৩। রক্তে চর্বির আধিক্য
৪। বংশগত ৫। মদ বা এলকোহল ৬। বিভিন্ন ওষুধ, যেমন স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ
ইত্যাদি
ফ্যাটি লিভারে বিভিন্ন উপসর্গ থাকে। সচরাচর যেসব উপসর্গ দেখা যায় তার মধ্যে আছে-
১। ক্লান্তি ২। পেটে অস্বস্তি ৩। পেটের উপরের ডান দিকে ব্যথা
৪। অবসাদ ইত্যাদি।
অনেক সময় কোন উপসর্গ থাকেনা। অন্য কোন অসুখের চিকিৎসার সময় ধরা পড়ে।
ফ্যাটি লিভার ডায়াগনসিসের জন্য রক্ত পরীক্ষা করা হয়। তবে রক্ত পরীক্ষায় নিশ্চিতভাবে বলা যায় না। একেবারে নিশ্চিত হবার জন্য আল্ট্রাসনোগ্রাম এবং লিভার বায়োপসি করা হয়। ফ্যাটি লিভারের সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। তবে বর্তমানে বেশ কিছু ওষুধ ব্যবহারে সুফল পাওয়া গেছে। যদিও বর্তমানে অনেক গবেষণা হচ্ছে। আশা করা যায় ভবিষ্যতে ভাল ওষুধ বাজারে আসবে।
ফ্যাটি লিভার প্রতিরোধের জন্য ওজন কমাতে হবে। চর্বি জাতীয় খাবার কম খেতে হবে। এলকোহল অবশ্যই বর্জন করতে হবে। ডায়াবেটিস থাকলে অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। ফ্যাটি লিভার থেকে জটিলতা হতে পারে তাই সাবধান হতে হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন