সারাদেশে নারী ও শিশু ধর্ষণ মহামারীর রূপ নিয়েছে মন্তব্য করে এ ঘটনায় গবীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নারী ঐক্য পরিষদ। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গতকাল নির্বাহী পরিষদের সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, কর্মক্ষেত্রে, পরিবহনে, স্কুল, মাদ্রাসায় এমন কি কোচিং সেন্টারেও নারীর শীলতাহানী করা হচ্ছে। ধর্ষণের পর হত্যাও করা হচ্ছে। এ সকল ঘটনায় অনেক ক্ষেত্রেই পুলিশ অভিযোগ নিতে টালবাহানা করে। অন্যদিকে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা সালিশের নামে অভিযুক্তকে রক্ষা করার চেষ্টা করে।
নারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি সংসদ সদস্য লুৎফুন নেসা খানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন মাহমুদা ইমাম, মোহসেনা খন্দকার, সেলিমা হক, ড. বীনা শিকদার, আসিফা খানম প্রমুখ।
বক্তরা বলেন, সারাদেশে নারী ও শিশু কন্যা ধর্ষণ মহামারীর রূপ নিয়েছে। এ ঘটনার জন্য অনেক ক্ষেত্রেই অভিযোগকারী ক্ষতিগ্রস্থ নারীকেই তার পোষাক, আচরণ, পরকীয়া ইত্যাদির কথা বলে অপমানিত করা হচ্ছে। কোন কোন ক্ষেত্রে তাঁকে নিপীড়নমূলক শাস্তিও প্রদান করা হয়। মামলা করলে তা তুলে নিতে পরিবারকে হুমকি ধামকি ও চাপ প্রয়োগ করা হয়।
এঅবস্থায় নারী ঐক্য পরিষদ দ্রুত বিচার আইনে ধর্ষণের শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড, পুলিশ কর্তৃক অভিযোগ আমলে নিতে টালবাহানা বন্ধ করা, নারীদের অভিযোগ শোনার জন্য প্রতি থানাায় নারী কর্মকর্তা নিয়োগের দাবি জানায়। একই সাথে সভায় নুসরাত, তনু, মিতু, রূপা ও শাহীনুর-এর হত্যাকারীদের দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিরও দাবি করা হয়। সভায় রিফাত হত্যাকাণ্ডের তদন্ত পুলিশের পিবিআই-তে অর্পণ ও বিচারকার্য ঢাকা অথবা বরিশাল বিভাগীয় সদরে করার জন্য জোর দাবি জানানো হয়। এর পাশাপাশি নারী ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষ বিশেষ করে নারী ও শিশুদের সহায়তায় সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন