কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের ঢালুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের সাথে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে শিক্ষার্থীরা ওই শিক্ষককে চাকুরিচ্যুত না করলে স্কুলে আসবে না বলে কঠোর হুঁশিয়ারি দেন।
শিক্ষার্থীরা গত মঙ্গলবার ও বুধবার ওই শিক্ষকের চাকুরিচ্যুতের দাবিতে বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা দেয়াসহ বিক্ষোভ করেন। গতকাল বৃহষ্পতিবারও তাদের আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার দাউদ হোসেন চৌধুরী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নাছির উদ্দিনকে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কিমিটি গঠন করে দ্রুত রিপোর্ট দেয়ার জন্য নির্দেশ দেন।
ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাইশা আক্তার, নাফিজা আক্তার, নুসরতা জাহান, সাজ্জাদুল ইসলাম ঈমন ও মেহেদী হাছান বলেন, এ শিক্ষক স্কুলে যোগদান করার পর থেকে বিভিন্ন সময় নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন। তিনি শ্রেণী কক্ষে ক্লাসে গেলে সব সময় মেয়েদেরকে নিয়ে বিভিন্ন কুটক্তি ও তাদের গায়ে হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরেন। কোন শিক্ষার্থী প্রতিবাদ করলে তাকে টিসি দিয়ে বের করে দেয়ার হুমকি দেয়। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে একাধিকবার শিক্ষার্থীরা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের বরাবর মৌখিক অভিযোগ এবং তাকে কোন বিষয়ের ক্লাস রুটিন না দেয়ার জন্য অভিযোগ করেন। কিন্তু তাতেও কোন সুফল পাওয়া যায়নি। বরং ওই শিক্ষকের অপকর্ম দিন দিন বাড়তে থাকে। তিনি স্থানীয় হওয়ায় বিদ্যালয়ে প্রভাব বিস্তার করেন। সর্বশেষ ওই শিক্ষক ছেলেকে অহেতেুক অভিযোগে থানা পুলিশে সোপর্দ করে।
তারা আরো বলেন, ওই শিক্ষক নারী কেলেঙ্কারীর সাথে জড়িত। সম্প্রতি ঢালুয়া বাজারের স্বর্ণ দোকানের ভিতরের একটি রুমে স্থানীয় প্রবাসীর স্ত্রীসহ আপত্তিকর অবস্থায় আটক হয়। বিদ্যালয়ে এমন শিক্ষককের কোন স্থান হবে না। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নাছির উদ্দিন বলেন, শিক্ষার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেয়ার জন্য বলেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার দাউদ হোসেন চৌধুরী বলেন, ঘটনাটি জানার পর ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে দ্রুত রিপোর্ট জমা দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন