সাংবাদিকদের ওপর ছাত্রলীগের দুই নেতার গুলি করার হুমকি ও লাঞ্ছনার ঘটনার ৪দিন অতিবাহিত হলেও দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় অবস্থান কর্মস‚িচ পালন করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) সাংবাদিক সমিতির সদস্যরা। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ভাস্কর্যের পাদদেশে দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচি পালন করেন তারা।
গত ১৯ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদকর্মীরা ছাত্রলীগের এক সংঘর্ষের সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে তাঁদের উদ্দেশ্যে শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শোয়েব হাসান হিমেল এবং সহ-সভাপতি মো. রাইহান ওরফে জিসান গুলি করে হত্যার হুমকি ও লাঞ্ছিত করেন। এদিকে গত ২১ জুলাই বিতর্কিত এ দুই নেতার বিরুদ্ধে ৪৮ ঘন্টার ভিতর কারণ দর্শানো নোটিশ দেয় শাখা ছাত্রলীগ এবং ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ছাত্রলীগের একটি সূত্র জানায়, এর আলোকে এ দুই নেতাকে বহিষ্কারের সুপারিশ করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন পাঠিয়েছে শাখা ছাত্রলীগ।
তবে এ দুই নেতাকে বাঁচাতে তৎপর হয়ে ওঠার অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের একটি মহলের বিরুদ্ধে। ক্যাম্পাসে মাদকের বিস্তার, শিক্ষার্থী পেটানো, সিনিয়রদের মারধর ও হুমকিসহ নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের পরেও তাদেরকে কেন্দ্র থেকে বাঁচানোর চেষ্টায় শঙ্কায় বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, সাংবাদিকসহ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরাও। তাদের দাবি, এর আগের কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কাছে মৌখিক অভিযোগ দেয়া হলে কয়েকজন সিনিয়র নেতা এদের একজনের দায়িত্ব নেন। কিন্তু দায়িত্ব নেয়ার এক সপ্তাহ না পেরুতেই আবারও সাংবাদিক লাঞ্ছিত করেন ঐ নেতা।
সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকদের গুলি করে হত্যার হুমকির পরেও ছাত্রলীগ বিচারে গড়িমসি করছে। ক্যাম্পাসে আগেও সাংবাদিকদের মারধর ও লাঞ্ছিত করা হয়েছে। তার কোন বিচার আমরা পাইনি। অতিদ্রুত দৃশ্যমান পদক্ষেপ না নিলে আমরা কঠোর অবস্থানে যাব। সাথে চলমান অবস্থান কর্মস‚চি ও শাখা ছাত্রলীগের সকল ইতিবাচক সংবাদ বর্জনও অব্যাহত থাকবে।
এসব বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, তদন্তের প্রেক্ষিতে আমরা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কাছে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছি। আর সাংবাদিকদের সাথে ভবিষ্যতেও কেউ এমন আচরণ করলে তার দায়ভার ছাত্রলীগ নেবে না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন