বুধবার ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে বিলীন অর্ধশত বাড়িঘর

পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২৭ জুলাই, ২০১৯, ১২:০০ এএম

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায় কয়েক দিনে ব্রহ্মপুত্রের ক্রমাগত ভাঙনে চরফরাদী ইউনিয়নের দক্ষিণ চরটেকী ও আলগীর চর গ্রাম দুটির অর্ধশত ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। গত বছরও এ গ্রাম দুটিতে নদী ভাঙনের শিকার হয় বেশ কিছু পরিবার। তাছাড়া ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে শতাধিক পরিবার।
উপজেলার চরাঞ্চলের কয়েকটি গ্রামের মধ্যে ভাঙন কবলিত গ্রামগুলো হলো দক্ষিণ চরটেকী, আলগীরচর ও চরকাওনা মুনিয়ারীকান্দা। ওই এলাকাগুলোতে গ্রাম রক্ষা বাঁধ না থাকায় বছরের পর বছর ধরে শুষ্ক ও বর্ষা মৌসুমে ব্রহ্মপুত্রের প্রবল ¯্রােতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে বসতভিটা, আবাদি জমি, কবর স্থান, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান।
গ্রামের বাসিন্দারা গ্রাম ও ফসলি জমি রক্ষায় দীর্ঘদিন ধরে বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়ে এলেও সরকারিভাবে বিশেষ কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন। সেই সাথে তাদের পুনর্বাসনের দাবিও জানিয়েছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নদীর ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। বেশ কয়েকটি বসতঘর, গোয়ালঘর ও টিউবওয়েল নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হাজার হাজার একর ফসলি জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ভাঙন কবলিত পরিবারগুলোতে উৎকণ্ঠা ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। নতুন করে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে ওই গ্রামগুলোর অনেক পরিবার তাদের বসতভিটা ও সহায়-সম্বল হারিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে আশ্রয় নিয়েছে পাশের গ্রামের নিকটাত্মীয়ের বাড়িতে। তাছাড়া ভাঙন আতঙ্কে অনেকেই আগেই ঘর অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে।
এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সুরুজ মিয়া, হারিস মিয়া, তারা মিয়া, আওয়াল মিয়া ও শাকিল মিয়াসহ কয়েকজন সদস্য বলেন, প্রতিদিন আমাদের ঘরবাড়ি, ফসলি জমি ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে শেষ হয়ে যাচ্ছে। অথচ আমরা সরকারি কোনো ত্রাণ সামগ্রী বা সহায়তা এখনো পায়নি। চরফরাদি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কামাল উদ্দিন বলেন, আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নিয়ে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি। ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথেও যোগাযোগ করছি। এছাড়াও এলাকায় গ্রাম পুলিশসহ স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করেছি। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সহযোগিতা করার জন্য।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাহিদ হাসান বলেন, আমি ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে এসেছি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে আলোচনা হয়েছে। ভাঙন প্রতিরোধে দ্রæত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে ভাঙন এলাকায় বালির বস্তা ফেলা হচ্ছে। যা যা করণীয় সকল ব্যবস্থাই নেওয়া হচ্ছে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন