শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

কুবি ছাত্রলীগের ২ পদ স্থগিত!

মেহেদী হাসান মুরাদ, কুবি থেকে : | প্রকাশের সময় : ২৭ জুলাই, ২০১৯, ১২:২৯ এএম

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শাখা ছাত্রলীগের স্বাক্ষরে সহসভাপতি মো. রায়হান ওরফে জিসান ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শোয়েব হাসান হিমেলের পদ স্থগিত করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ এবং সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মাজেদের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। যদিও এ ঘটনায় অন্য এক বিবৃতিতে শাখা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে গভীর দুঃখ প্রকাশ করা হয়।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে কেন্দ্রের নির্দেশনায় শাখা ছাত্রলীগের দুই নেতার পদ স্থগিত এবং দুই নেতাকে সতর্ক করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও শাখা ছাত্রলীগের কোন নেতা-কর্মী যদি সাংবাদিকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে তাদের দায় ছাত্রলীগ নিবে না।
গত ১৯ জুলাই রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই হলের শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়েছে, এমন খবর পয়ে তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যে যায় সাংবাদিকরা। সে সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা শোয়েব হাসান হিমেল সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ শুরু করেন ও সাংবাদিকরা কেন এসেছেন বলে চিৎকার করতে থাকেন। তখন তিনি উপস্থিত সংবাদকর্মীদের স্থান ত্যাগের নির্দেশ দেন।
এ সময় সাংবাদিক তানভীর সাবিক প্রতিবাদ করলে হিমেল সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে হত্যার হুমকি দিয়ে বলেন, গুলি করব। বুলেট সাংবাদিক চিনে না, সাংবাদিক পাইলেই গুলি করে মারব।
তখন শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মো. রায়হান ওরফে জিসান সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু বকর রায়হানের দিকে মারতে সদলবলে তেড়ে আসেন।
পরবর্তীতে ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ও সাংবাদিকদের গুলি করে হত্যার হুমকিতে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকরা। ২১ জুলাই বিকালে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানায় অভিযোগটি করা হয়। এর আগে হত্যার হুমকি ও লাঞ্ছনার বিচারের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টিতে কর্মরত সাংবাদিকরা।
জানা যায়, এ সময় তার সঙ্গে থাকা ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. রায়হান ওরফে জিসান সাংবাদিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু বকর রায়হানকে মারার জন্য সদলবলে তেড়ে আসেন। তাছাড়া এ নেতা সে সময় ভুক্তভোগী ওই সাংবাদিক নাজমুল সবুজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে অবহিত করেন।
পরে অভিযুক্ত রায়হান ভুক্তভোগী সাংবাদিক সবুজ এবং সাংবাদিক সমিতির সভাপতি জাহিদুল ইসলামের সামনে গিয়ে ভবিষ্যতে আর এমন কাজ করবে না বলে জানান। কিন্তু সে ঘটনার ৭ দিন না পার হতেই অভিযুক্ত রায়হান সাংবাদিকদের সঙ্গে আবারও এমন বিদ্বেষমূলক বক্তব্যে সাংবাদিক সমিতির সকল সদস্য তাদের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন