গণফোরাম নেতৃবৃন্দ বলেছেন, দেশে ডেঙ্গু মহামারী আকার ধারণ করেছে। উত্তরবঙ্গে প্রায় ৪৫ লাখ লোক পানিবন্দি। সুষ্ঠু ত্রাণকার্য পরিচালনা হচ্ছে না। হত্যা-খুন-ধর্ষণ বেড়েই চলেছে। গলা কাটা-পিটিয়ে মানুষ হত্যা চলছেই। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি চরম আকার ধারণ করেছে। প্রত্যেকটি ঘটনার পেছনে সরকারি দলের সদস্যরা জড়িত। সরকার সব জায়গায় ব্যর্থ। দেশে গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, আইনের শাসন, বাক-ব্যক্তির স্বাধীনতা নেই।
গতকাল যুব গণফোরামের সাধারণ সভায় নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। আরামবাগস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গণফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মো. নাছির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় সাধারণ সভা। সভায় গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ ও অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সভাপতি পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিক ও মেজর জেনারেল অব. আমসাআ আমীন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোশতাক আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দিন, দফতর সম্পাদক মো. আজাদ হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক খান সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ভোটারবিহীন নির্বাচনে, পুলিশ ও প্রশাসনের মাধ্যমে আগের রাতে ছিনিয়ে নেয়া ভোটে তথাকথিত নির্বাচিত সরকারের কাছে এর বেশি আশা করা বাতুলতা মাত্র। এমন পরিস্থিতিতে যুবসমাজের দেশ ও জাতির প্রতি দায়িত্ব অপরিসীম। যুব সমাজকে আজ গণতন্ত্র, আইনের শাসন, ভোটাধিকার ও বেকারত্ব, খুন-ধর্ষণ, হত্যাসহ চলমান দুর্নীতি ও জনগণের সমস্যা সমাধানের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে।
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে মো. নাছির হোসেনকে আহ্বায়ক, অ্যাডভোকেট শরিফুল ইসলাম সজল, ডা. আলাউদ্দিন, মো. জাহাঙ্গীর হাসান, এলিজা রহমানকে যুগ্ম-আহ্বায়ক ও মুহাম্মদ উল্লাহ মধুকে সদস্য সচিব করে ৫১ সদস্যের যুব গণফোরাম কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। অ্যাডভোকেট শরিফুল ইসলাম সজলকে আহ্বায়ক, রবিউল ইসলাম, এলিজা রহমান, তৌফিকুল ইসলাম পলাশকে যুগ্ম আহ্বায়ক ও জহিরুল ইসলাম বাবুকে সদস্য সচিব করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট ঢাকা মহানগর যুব গণফোরাম আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন