মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

পেকুয়ায় ৩ কি.মি. বেড়িবাঁধ অরক্ষিত

জাকের উল্লাহ চকোরী, কক্সবাজার থেকে : | প্রকাশের সময় : ২৭ জুলাই, ২০১৯, ১১:৫৯ পিএম

কক্সবাজারের সমুদ্র উপকূলীয় উপজেলা পেকুয়ার মগনামায় ৩ কি.মি. বেড়িবাঁধ অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এ ভাঙ্গাবাঁধ দিয়ে সমুদ্রের কুতুবদিয়া চ্যানেল থেকে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে বিশাল এলাকা প্লাবিত হয়ে এলাকায় বসবাসরত মানুষের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াও চিংড়িঘের ও ধানী জমির ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসি।

বান্দরবান পানি উন্নয়ন বোর্ড (পউর) বিভাগ গত ১৫-১৬ অর্থবছরের ৬৪/২বি পোল্ডারের ৭কি.মি. ভাঙ্গাবাঁধ মেরামত ও সিসি ব্লক বসিয়ে একটি শক্তিশালী প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। কাজের দায়িত্ব পায় উন্নয়ন ইন্টারন্যাশনাল নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ইতিমধ্যে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ৪কি. মি. বেড়িবাঁধ নির্মাণকাজ সম্পন্ন করেছেন বলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক আতিকুল ইসলাম জানান।

মগনামা ইউনিয়নের মগনামা জেটিঘাট, শরৎঘোনা ও কাঁকপাড়ায় রিভার সাইড ও কান্ট্রি সাইডে পানি উন্নয়ন বোর্ডের হুকুম দখলকৃত কোন জমি না থাকায় মাটির অভাবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওই ৩টি পয়েন্টে মাটির অভাবে এখনো বাঁধ নির্মাণ কাজ পুরোদমে শুরু করতে পারেনি। এ অবস্থার প্রেক্ষিতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহা পরিচালক বরাবরে কাজ থেকে অব্যাহতি চেয়ে একটি লিখিত আবেদন পাঠানো হয়েছে। তার আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বিধ্বস্তবাঁধ এলাকায় সিসি ব্লক তৈরির কোন উপযুক্ত জায়গা না থাকায় ৫০কি.মি. দূরে চকরিয়ার হাসের দিঘি ও লামা এলাকায় তিনি ব্লক তৈরির কাজ সম্পন্ন করেছেন। তৈরি ব্লকগুলো সাইড এলাকায় পরিবহনের জন্য পরিবহন বিল না দেয়ায় তৈরি ওইসব সিসি ব্লক সাইড এলাকায় পৌছাতে পারছে না। বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধ এলাকায় রিং বাঁধ না দিয়ে মাটি ভরাটের কাজ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ও জোয়ারের পানি প্রবেশ অব্যাহত থাকায় মাটির বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু করতে পারেনি। সিডিউলে রিং বাঁধ নির্মানে কোন বরাদ্দ না থাকায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রিং বাঁধ নির্মানে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দেয়ার দাবি জানিয়েছেন। এছাড়া ট্রাস্টফোর্সের তৈরি ব্লক এক মিমি বা দুই মিমি সাইজের কম থাকায় প্রায় দেড় কোটি টাকার তৈরি বøক বাদ দেয়ায় ঠিকাদারি প্রতিষ্টানটি চরম আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে।

এ ব্যাপারে বান্দরবান পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আবেদনের প্রেক্ষিতে সমস্যা সমাধানের জন্যে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। তদন্ত টিম কর্তৃক দরপত্রের বর্তমান বাজারদর মূল্যায়ন ও প্রাক্কলিত কাজের রিভাইজ করার চেষ্টা চলছে।
এলাকাবাসি এসব সমস্যা দ্রুত সমাধান করে মগনামার তিন কি.মি. অরক্ষিত রেড়িবাঁধ দ্রুত সম্পন্ন করার দাবি জানিয়েছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন