বেনাপোল অফিস : দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল চেকপোস্টে ধূমপান করলেই জরিমানা করেন বেনাপোল কাস্টমস চেকপোস্টের সুপারিনটেন্ড সরনিকা চাকমা। অফিসে কাজ না থাকলে অহেতুক বসে না থেকে সরনিকা পাসপোর্ট গমনকারী যাত্রীদের দেখভাল করাসহ আসা-যাওয়ার সময় নোম্যান্সল্যান্ড এলাকাসহ কাস্টমস অফিসের আশেপাশে ধূমপানমুক্ত রাখার জন্য নিজে জোর তদারকি করছেন। তার এই উদ্যোগে ইতোমধ্যে প্রশংসিত হয়েছে সর্বমহলে।
ভুক্তভুগীরা জানান, কাস্টমস সুপার সরনিকা চাকমা বিশেষ করে চেকপোস্টের নোম্যান্সল্যান্ড এলাকা যাতে কলুষিত না হয় সেজন্য কেউ যাতে ধূমপান না করে ও পানের চিপটি না ফেলে সেদিকে বিশেষভাবে খেয়াল রাখছেন ওই কর্মকর্তা। যদি কেউ এ এলাকায় ধূমপান করে, তিনি সঙ্গে সঙ্গে ৫০ থেকে ১০০শ’ টাকা জরিমানা করেন। আর পুনরায় এখানে যাতে ধূমপান না করে সেজন্য ধূমপায়ীকে জনগণের সামনে অঙ্গীকার করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সুপার সরনিকা চাকমা সারা দিন এলাকায় তার সিপাহীদের পাশাপাশি নিজে তদারকি করেন। এ কারণে এলাকায় তার তত্ত¡াবধানে অনেকটা ভালো পরিবেশে পরিণত হয়েছে। কিন্তু জরিমানা করে টাকা তিনি নিজে নেন না। বাংলাদেশি কাউকে জরিমানা করলে বাংলাদেশি গরিব লেবারদের সে টাকা দিয়ে দেন। আর ভারতীয় লোকদের জরিমানা করলে ভারতের গরিব লোকদের মাঝে জরিমানার টাকা বিতরণ করে দিয়ে দেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে ভারতীয় ধূমপায়ী জগদিস দাস নামে এক ট্রাক-ড্রাইভারকে ৫০ টাকা জরিমানা করে আদায় করেন। আর তখন গরিব লোক না পেয়ে ট্রাক-ড্রাইভারকে টাকা ফেরত দিয়ে সতর্ক করে দেয়া হয়। পুনরায় যেন, রাস্তায় প্রকাশ্যে দাঁড়িয়ে সিগারেট না খাওয়া হয় সেজন্য সতর্ক করে দেয়া হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম যে ধূমপান করলে জরিমানা দিতে হয়। আইন আছে কিন্তু মানা হয় না। যদি আইন মানা হয়, তাহলে দেশে মাদকাসক্তির সংখ্যা কমে যেত। এছাডা পরিবেশও দূষণমুক্ত হত।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন