শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

গুঞ্জন নাকি সত্যি

মহসিন রাজু | প্রকাশের সময় : ৩১ জুলাই, ২০১৯, ১২:০০ এএম

নিয়োগের দেড় বছর পেরোলেও এমপিও না মঞ্জুর হওয়ায় তার নিয়োগের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বগুড়া সদরের নুনগোলা ডিগ্রী কলেজের প্রিন্সিপাল সুলতান মাহমুদের বিরুদ্ধে।
বিষয়টি অনুসন্ধান করে জানা যায়, নুনগোলা কলেজে নিয়োগের আগে তিনি বগুড়া কলেজ নামক অন্য একটি কলেজে রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের ডিগ্রী পর্যায়ের প্রভাষক পদে চাকুরী করেন। বগুড়া কলেজে চাকুরী করাকালে তার এমপিও ইনডেক্স নম্বর ছিল ৪৩৭৯৮১। তবে ওই কলেজটি ডিগ্রী পর্যায়ের না হওয়া সত্তে¡ও তিনিসহ অপর ২০ জন অনৈতিক প্রক্রিয়ায় এমপিওভুক্ত হিসেবে বহুবছর ধরে বেতন ভাতা উত্তোলন করে। এক পর্যায়ে মন্ত্রণালয়ের অডিটে তা ধরা পড়লে সুলতান মাহমুদসহ অন্যদের এমপিও ভুক্তের আদেশ বাতিলসহ বেতন ভাতা ফেরতের নির্দেশ দেয়া হয়।
এ অবস্থায় নুনগোলা কলেজের তৎকালীন প্রিন্সিপালের মৃত্যু হলে শুন্যপদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হলে সুলতান মাহমুদ তার চাকুরী জীবনের আসল তথ্য গোপন করে কমিটিকে ম্যানেজ করে নিয়োগ হাসিল করেন। বগুড়া কলেজের ম্যানেজিং কমিটির যিনি সভাপতি তিনি নুনগোলা কলেজেরও সভাপতি ছিলেন বলে তার নিয়োগ কেউ আটকাতে পারেননি।
কলেজ কমিটিকে ম্যানেজ করলেও মন্ত্রণালয়কে ম্যানেজ করতে ব্যর্থ হওয়ায় তার এমপিও ভুক্তির বিষয়টি ঝুলে আছে দেড় বছর ধরে। বাধ্য হয়ে সুলতান মাহমুদকে বিনা বেতনেই চাকুরি করে যেতে হচ্ছে। তাই সহকর্মী, ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের মধ্যে গুঞ্জন তার নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তার বৈধতা নিয়ে।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন