রাজশাহী ব্যুরো : রাজশাহীতে মসজিদে হামলাকারীর সহযোগী ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। গত বছর ২৫ ডিসেম্বর জুমার নামাজের সময় বাগমারার আহমাদিয়া মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনায় হামলাকারীর সহযোগী জেএমবি ক্যাডার জামাল উদ্দিন (২৮) পুলিশের সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত হয়েছেন।
সোমবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার ফরাদপুর চাপড়া এলাকায় এই বন্দুকযুদ্ধ হয়। জামাল উদ্দিনের বাবার নাম তাবজুল হক। তার বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার ঘোড়াপাখিয়া ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর কালিনগর গ্রামে।
পুলিশের ভাষ্যে, রাজশাহী জেলা পুলিশের স্পেশাল টিম সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বাবু ডাইং এলাকা থেকে জামালকে গ্রেফতার করে।
তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী টিমের আরেক সদস্যকে আটক করতে গোদাগাড়ীর ফরাদপুরে যাওয়ার সময় বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।আজ ভোরে ময়নাতদন্তের জন্য জামালের লাশ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে নেয়া হয়।
এদিকে আহমাদিয়া মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলকারীর পরিচয়ও শনাক্ত হয়েছে। তিনি হলেন তারেক (২৪)। তার বাবার নাম আবু সালেক।তারেকের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার ঘোড়াপাখিয়া ইউনিয়নের রূপনগর গ্রামে।পুলিশ জানায়, আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী তারেক চাঁপাইনবাবগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র ছিলেন।সম্প্রতি তারেকের পরিচয় শনাক্ত ও তার সহযোগী জামালকে ধরিয়ে দিতে রাজশাহী জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। সেই সূত্র ধরেই জামালের পরিচয় জানতে পারে পুলিশ।
রাজশাহী জেলা পুলিশের স্পেশাল টিমের সদস্য ও আলোচিত মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক মামুনুর রশীদ জানান, গত বছর ২৫ ডিসেম্বর জুমার নামাজের সময় বাগমারার আহমাদিয়া মসজিদে আত্মঘাতী বোমায় নিহত হন তারেক।কিন্তু সে সময়ে কেউ তার পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি। পরে মোবাইল ফোনের সূত্র অনুসন্ধান করে বোমা হামলাকারীর সহযোগীর পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়।
পুলিশ সূত্র জানায়, জামালকে আটক করে তার প্রাথমিক স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী তারেকের বাড়িতে গিয়ে তার ছবি ও পাসপোর্ট উদ্ধার করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন