চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির দুর্গম ইউপি খিরামে নির্বাচন পরবর্তী বিরোধের জের ধরে নয়া ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ি ঘেরাও করে গুলিবর্ষণ করায় বিজয়ী-বিজিত পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার প্রেক্ষিতে এলাকাবাসী ও নিজের নিরাপত্তা শঙ্কার কথা জানিয়েছেন প্রথম ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন সৌরভ। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে খিরাম ইউপি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ শঙ্কা প্রকাশ করেন।
জানা যায়, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি খিরাম ইউপির প্রথম নির্বাচনে নৌকার মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ শহিদুল আলম মাত্র ৩ ভোটের ব্যবধানে স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান এবং প্রথম চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সোহরাব হোসাইন সৌরভের কাছে হেরে যান। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। সম্প্রতি স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে নয়া চেয়ারম্যান অভিযান শুরু করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কতিপয় দুস্কৃতকারী নতুন ইউপি কার্যালয়ে হামলা চালায়। এদের বিরুদ্ধে চেয়ারম্যান বাদী হয়ে গত ২৭ জুলাই মামলা দায়ের করেন। আসামিরা বিজিত শহীদুল আলমের আশ্রয়ে গিয়ে পরদিন জামিনে ফিরে এবং গত ৩০ জুলাই রাতে চেয়ারম্যান সৌরভের বাড়ি ঘেরাও করে গুলিবর্ষণ শুরু করে। তারা চেয়ারম্যানের মায়ের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চেয়ারম্যানকে খুঁজতে থাকে। গুলিবর্ষণের খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় চৌমুহনী বাজারে দু’পক্ষের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে। এতে দু’পক্ষের অন্তত ৭ জন আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে খিরাম ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন সৌরভ তার কার্যালয়ে জরুরী সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, নির্বাচনের পর থেকে প্রতিপক্ষ আমাকে ও কর্মী-সমর্থকদের নানাভাবে হেনস্থা করে আসছিল। তারই ধারাবাহিকতায় আমার বাড়ীতে গুলিবর্ষণ এবং আমার সমর্থকদের উপর হামলা চালায় এতে ৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য মফিজুল আলম, নাঈম উদ্দীন, আব্দুস শুক্কুর, লালঞ্জয় চাকমা, সাবেকুন্নাহার, সৈয়দা শামসুন্নাহার, ব্যবসায়ী নেতা মোহাম্মদ হোসেন, আবু তাহের, রশিদ আহমদ প্রমূখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন