ভোলার দৌলতখান উপজেলায় আওয়ামী লীগ পরিবারের উপর হামলা, নির্যাতন করে আসছে স্থানীয় একটি সন্ত্রাসী বাহিনী। হত্যার চেষ্টায় হামলা ও নির্যাতনের ঘটনায় মামলা করে ভুক্তভোগী আ’লীগ নেতা ফারুক ও আকিব মহাজন। মামলার ২ মাস পেরিয়ে গেলেও অজ্ঞাত কারনে আসামিরা এখনো ধরা ছোয়ার বাইরে। অপরদিকে ভুয়া মিথ্যা মামলা দিয়ে বাদিকে উল্টো হয়রানি করছে আসামীরা। ২০ ও ২৪ মে দৌলতখান উপজেলার নুর মিয়ার হাট ও ক্লাব ঘরে এই হামলার ঘটনা ঘটে। আইজিপি, ডিআইজি ও পুলিশ সুপার এর নির্দেশে এখনও আসামীদেরকে গ্রেফতার না করায় বিষয়টি নিয়ে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে অসহায় ভুক্তভোগী পরিবারটি।
স্থানীয় সুত্রে যানা যায়, গত ২০১৯ সালের উপজেলা নির্বাচনের পরে ২০ মে বিকেলে দৌলতখান উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের নুর মিয়ার হাট বাজারে নির্বাচন পরবর্তী হামলা চালায় পরাজিত প্রার্থী ওদুদ হাওলাদার ও তার বাহিনীয়। আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ ফারুক (৪৫) বিজয়ী প্রার্থী ছিদ্দিকুর রহমানের দল করায় ওদুদ হাওলাদারের নেতৃত্বে মো: শাহিন, রিয়াজ, মাসুম, সাগর, হুমায়ুন, রাছেল, মামুনসহ একটি সন্ত্রাসী বাহিনী দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে নুর মিয়ার হাট বাজারে শাহিনের ক্লাব ঘরের ভিতরে আটকিয়ে ফারুককে এলোপাথারী মারধর করে। হামলায় ফারুকের একটি চোখ নষ্ট হয়ে যায়। একই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২৪ মে আবারো নুর মিয়ার হাট বাজারের মধ্যে খানে প্রকাশ্যে ফারুকের ছোট ভাই আকিবের উপর হামলা করে জখম করে ওদুদ বাহিনী।
ঘটনার পরে আহত ফারুক বাদি হয়ে দৌলতখান থানায় মামলা করতে গেলে অজ্ঞাত কারনে পুলিশ মামলা নেয়নি। পরে দৌলতখান বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা করলে বিজ্ঞ আদালত দ্রুত মামলাটির এফ.আই.আর করার জন্য দৌলতখান থানার ওসিকে আদেশ দেয়। আদালতের আদেশে ঘটনার ১ মাস পর দৌলতখান থানার ওসি মামলাটি এজহার ভুক্ত করে। কিন্তু পুলিশ অজ্ঞাত কারনে আসামীদের গ্রেফতার না করায় বাদি ফারুক মহাজন পুলিশের আইজিপি বরাবর আবেদন করেন। আইজিপি আসামীদের আইনের আওতায় আনার জন্য ডিআইজি বরিশাল ও ভোলা পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেন। পুলিশ সুপার দৌলতখান থানার ওসিকে আসামি গ্রেফতার করে ৩ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য আদেশ দেন। এই দিকে ফারুকের ছোট ভাই আকিবের উপর হামলার ঘটনায় মামলা করলেও এখনো কোন আসামি গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে আসামীরা। উভয় মামলার আসামীকে দ্রুত গ্রেফতারের নির্দেশ দেওয়া হলেও অজ্ঞাত কারণে আসামীরা ধরাছোয়ার বাইরে রয়েছে। আইজিপি, ডিআইজি ও পুলিশ সুপার এর নির্দেশে এখনও আসামীদেরকে গ্রেফতার না করায় বিষয়টি নিয়ে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
বাদি ফারুক জানান, ঘটনার কয়েক মাস পেরিয়ে গেলেও পুলিশ অজ্ঞাত কারনে আসামীদের গ্রেফতার করছে না। আসামীরা উল্টো আমাদেরকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন চাপ সৃষ্টি করছে। অপর মামলার বাদি আকিব বলেন, আসামীদের গ্রেফতার না করায় আমাদের পরিবার এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। আসামীরা প্রকাশ্যে আমাদেরকে হুমকি ধামকি দিয়ে বেড়াচ্ছে। গত ২৮ জুলাই আসামীরা উল্টো আমাদের নামে একটি ভুয়া মিথ্যা মামলা দায়ের করে পুলিশ দিয়ে হয়রানী করছে। মামলার ৭দিনে পুলিশ আমাদের বাড়ীতে ৩দিন অভিযান চালিয়েছে। অথচ আমাদের মামলার দুই মাস পেরিয়ে গেলো আসামীরা এখনো ধরাছোয়ার বাইরে রয়েছে।
আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবী জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ওদুদ হাওলাদারের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন