লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার লাহারকান্দি এলাকায় মিনহাজ নামে দেড় বছরের এক শিশুকে বাবা-মায়ের ঘুমের ঘর থেকে মধ্যরাতে কে বা কাহারা অপহরণ করে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেন ওই শিশুর পরিবার। এরপর মোবাইল ফোনে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করা হয়। সোমবার ভোররাতে টিনসেড ঘরের দরজা খুলে শিশুটিকে অপহরণ করে নিয়ে যায় দূর্বত্তরা। এ দিকে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পুলিশ সুপার ও সদর থানার ওসি। শিশুটিকে উদ্ধার ও ঘটনার রহস্য উৎঘাটনে পুলিশ কাজ করছে বলে জানান পুলিশ সুপার ড. এইচ এম কামরুজ্জামান। অপহৃত শিশু মিনহাজ স্থানীয় রাজমেস্ত্রী মো. মামুন হোসেন ছেলে।
পরিবার সুত্রে জানা যায়, স্থানীয় এলাহী বক্সের বাড়ীর নিজ ঘরে প্রতিদিনের মতো শিশু মিনহাজকে নিয়ে রাজমেস্ত্রী মামুন ও তার স্ত্রী কহিনুর ঘরের দরজা বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়ে। ভার রাতে ঘুম ভাঙ্গলে মা-বাবা দেখেন তাদের শিশুটি পাশে নেই। দো-চালা টিনসেড ঘরের দরজাটিও খোলা দেখতে পান। চতুর্দিকে খোঁজ-খবর নিয়ে মিনহাজের সন্ধান পায়নি তারা। এসময় কহিনুরের ব্যবহৃত মুঠোফোনও পাওয়া যায়নি। ভোর ৫টার দিকে ওই মুঠোফোনে শিশুর বাবা পাশ্ববর্তী একজনের মুঠোফোন থেকে কল করেন। এসময় শিশুটিকে ছেড়ে দিতে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়। খবর পেয়ে সোমবার (৫ আগস্ট) সকালে ওই বাড়িতে লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার ড. এ এইচ এম কামরুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনোয়ার হোসেন, সদর থানার ওসি আজিজুর রহমান মিয়া, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন মুশু ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ সময় অপহৃত শিশুর বাবা মামুন হোসেন জানান, ঘুম থেকে উঠে আমার ছেলেটিকে খুজে পাচ্ছিনা। কে বা কাহারা তাকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। এই সময় আমার স্ত্রীর মুঠোফোনটিও নিয়ে গেছে। পরে ওই মুঠোফোন থেকে আমার ছেলেকে ছেড়ে দেবে বলে ৫ লাখ টাকা দাবি করা হয়। তবে তাদের পরিচয় দেয়নি। শিশু উদ্ধারসহ ঘটনার বিচার দাবী করেন তিনি।
এদিকে লাহারকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন মশু পাটওয়ারী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রাতে-কেবা কারা ঘর থেকে শিশু মিনহাজকে নিয়ে গেছে, সে বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম আজিজুর রহমান মিয়া জানান, শিশুটিকে উদ্ধারে চেষ্টা চলছে। তবে কি কারনে তাকে শিশুটিকে নিয়ে গেছে, সেটা উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশ।
পুলিশ সুপার ড. এ এইচ এম কামরুজ্জামান জানান, দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশের বিষয়টি দেখে মনে হচ্ছে তাদের জানা শোনা লোকজনই এ ঘটনায় জড়িত রয়েছে। শিশুটিকে উদ্ধারের চেষ্টাসহ ঘটনার তদন্ত চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন