রোববার, ২৬ মে ২০২৪, ১২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সম্পাদকীয়

হঠাৎ করে অতিরিক্ত ৩৮ হাজার সৈন্য কেন?

মোবায়েদুর রহমান | প্রকাশের সময় : ৬ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০১ এএম

আমি আজ কাশ্মীর নিয়ে লিখছি। সারা বাংলাদেশের ৬৪টি জেলাতেই ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়েছে। ডেঙ্গুকে কয়েক দিন আগেও বলা হয়েছে এটি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। কিন্তু এখন যে রূপ ধারণ করেছে তা বলা যায় মহামারি আকারে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়েছে। আর ৫ দিন পর পবিত্র ঈদুল আযহা। ঈদুল আযহা উপলক্ষে প্রায় ১ কোটি মানুষ তাদের দেশের বাড়িতে যাবেন। এর ফলে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আতঙ্কজনক পর্যায়ে চলে যাবে। এমনিতেই ডেঙ্গু মহামারি আকার ধারণ করেছে। তার পরে প্রায় কোটি খানেক লোক যখন মফস্বলে যাবেন তখন তাদের মাধ্যমেও রোগ ছড়িয়ে পড়বে। এছাড়াও রয়েছে কোরবানির পশুর হাট। সেই হাট থেকে কোরবানির গরু বা ছাগল ঘরে রাখা, তাদের বর্জ্যে ঘরবাড়ির পরিবেশ দূষিত হওয়াসহ সব মিলিয়ে আল্লাহই জানে, এবার এই মাসে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরো কত ভয়াবহ হয়। সেই ডেঙ্গু নিয়েই আজকে আমার লেখার কথা। কিন্তু দেখছি প্রিন্ট এবং টেলিভিশনের সমগ্র পৃষ্ঠা এবং স্ক্রিন এবং পর্দা জুড়ে আছে ডেঙ্গু। আমি না লেখলেও পরিস্থিতির খুব একটা হেরফের হবে না। তাই যেতে চাচ্ছি এমন একটি বিষয়ে যেটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক, যেখানে রক্তক্ষয়ের আশঙ্কা আছে, যে ঘটনাকে কেন যে প্রমিনেন্স দেওয়া হচ্ছে না সেটি বোধগম্য নয়।

সেটি হলো কাশ্মীর। পাকিস্তানের প্রধান মন্ত্রী ইমরান খান এই সেদিন যখন আমেরিকা সফরে যান তখন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কাশ্মীর ইস্যুতে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব রাখেন। প্রথমে ভারতীয় মিডিয়াতে নিউজ বেরিয়েছিল যে কাশ্মীর প্রশ্নে ট্রাম্পের মধ্যস্থতার প্রস্তাবে ভারতের প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাজি হয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তী কালে ভারতে ট্রাম্পের মধ্যস্থতা প্রস্তাবের তীব্র বিরোধীতা শুরু হলে তিনি সেটি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন। নরেন্দ্র মোদির অস্বীকৃতি সত্বেও প্রধান মন্ত্রী ইমরান খান আমেরিকা সফর শেষ করে পাকিস্তান ফিরে এলে ডোনাল্ড ট্রাম্প আবার মধ্যস্থতার প্রস্তাব করেন। এবার যথারীতি ভারত সরকার সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। পাকিস্তান প্রতিবারই মার্কিন প্রেসিডেন্টের মধ্যস্থতার প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। কারণ পাকিস্তান কাশ্মীর প্রশ্নে সঠিক পথে আছে। ১৯৪৯ সালে জাতিসংঘ প্রথম কাশ্মীর প্রশ্নে একটি প্রস্তাব পাশ করে। সেই প্রস্তাবে বলা হয় যে জম্মু ও কাশ্মীরের সাধারণ মানুষ গণভোটের মাধ্যমে কাশ্মীরের ভবিষ্যত নির্ধারণ করবে। কাশ্মীর পাকিস্তানে যোগদান করবে, নাকি ভারতে যোগদান করবে, নাকি স্বাধীন থাকবে, সেটি নির্ধারণ করবে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রায় ৮০ লাখ মানুষ।

গণভোটের এই প্রস্তাবটি সেদিন ভারতও মেনে নিয়েছিল। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ কাশ্মীরে গণভোটের প্রস্তাব আরও একবার গ্রহণ করেছে। কিন্তু প্রতিবারেই দেখা গেছে সাবেক সোভিয়েট ইউনিয়ন ও বর্তমান রাশিয়া জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। একমাত্র সোভিয়েট ইউনিয়ন এবং তার পদলেহি কয়েকটি রাষ্ট্র ছাড়া সমগ্র দুনিয়া সেদিন কাশ্মীরে গণভোটের প্রস্তাবে সমর্থন দিয়েছে। কিন্তু সোভিয়েট ইউনিয়ের সমর্থনে বলীয়ান হয়ে ইন্ডিয়া প্রস্তাবটি বাস্তবায়ন করেনি। সেই সময় সোভিয়েট ইউনিয়ন ভারতকে অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র দিয়ে সজ্জিত করেছে এবং উপমহাদেশের সামরিক ব্যালান্স নষ্ট করেছে। অব্যাহত ভাবে রুশ সমরাস্ত্র পেয়ে ভারত এই উপমহাদেশে সবচেয়ে শক্তিশালী রাষ্ট্র এবং সেই সুবাদে আঞ্চলিক শক্তি হিসাবে উত্থিত হয়েছে। সামরিক ভাবে ভারত অনেক শক্তিশালী হয়েছে। ফলে তারা কাশ্মীরে গণভোটের জাতিসংঘ প্রস্তাবকে উপেক্ষা করে জোর গলায় বলেছে যে জম্মু ও কাশ্মীর উপতক্যা ভারতের। এমনকি কাশ্মীরের যে অংশ আজাদ কাশ্মীর নামে পাকিস্তানের সাথে আছে তাদেরকেও ভারত নিজেদের অংশ বলে মনে করে।

দুই
এভাবেই চলে গেছে বছরের পর বছর। সামরিক দিক দিয়ে পাকিস্তানও বসে থাকেনি। ভারত প্রতিনিয়ত অস্ত্রশস্ত্রে অধিকতর শক্তিশালী হয়ে যখন এ্যাটম বোমা বানানো শুরু করে তখন পাকিস্তানও মনে করে যে তাদের জন্যও এ্যাটম বোমা প্রয়োজন। পাকিস্তানের জন্য এ্যাটম বোমা প্রয়োজন দুইটি কারণে। একটি হলো জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে যদি ভবিষ্যতে কোনো দ্বিপাক্ষিক যুদ্ধ বেধে যায় তাহলে প্রচলিত অস্ত্রশস্ত্রে শক্তিশালী হওয়ার ফলে ভারত কাশ্মীরকে তো দখল করবেই, তারা পাকিস্তান দখলের জন্যও সেই দিকে হাত বাড়াবে। সুতরাং পাকিস্তানকেও এ্যাটম বোমা বানানোর কর্মসূচি নিয়েই এগুতে হয়। ভারতের এ্যাটম বোমা কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন দক্ষিণ ভারতীয় মুসলিম বিজ্ঞানী এপিজে আব্দুল কালাম এবং পাকিস্তানে এ্য্টাম বোমা কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন পরমাণু বিজ্ঞানী আব্দুল কাদের খান। এ্যাটম বোমা বানানোর সাথে সাথে পাকিস্তান এবং ভারত উভয়েই সেই বোমার ডেলিভারি সিস্টেমের দিকে নজর দেয়। শুরু হয় ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণ পরিকল্পনা। আজ ভারতের হাতে যেমন রয়েছে দূর পাল্লার আন্তঃ মহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র, তেমনি পাকিস্তানের হাতেও রয়েছে দূরপাল্লার আন্তঃ মহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র। যেটিকে ইংরেজিতে বলা হয়, Long Range Ballistic Missile.. পাকিস্তান কর্তৃক এই এ্যাটম বোমা এবং ক্ষেপণাস্ত্রের পেছনে অনেক কাহিনী রয়েছে। পাকিস্তানকে এসব আনবিক অস্ত্র নির্মাণে আমেরিকা শেষ পর্যন্তও বাধা দিয়েছে। তখন মাকিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী ছিলেন হেনরি কিসিঞ্জার। এই কলাম লেখক তখন ছিলেন হলান্ডে। পাকিস্তানের পরমাণু বিজ্ঞানী আব্দুল কাদির খান হলান্ডেরই একটি গবেষণা গারে পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে কাজ করছিলেন।

হল্যান্ড থেকে তিনি পাকিস্তান ফিরে যান। তখন পাকিস্তানের প্রধান মন্ত্রী ছিলেন মরহুম জুলফিকার আলী ভুট্টো। এই প্রতিনিধি হলান্ডে বসে সেদিন দেখেছিলেন যে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার জন্য ড. হেনরি কিসিঞ্জার পাকিস্তানের প্রধান মন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোকে কড়া ধমক দিচ্ছেন। কিসিঞ্জার এতদূরও বলেন যে জুলফিকার আলী ভুট্টোকে এ্যাটম বোমা বানানোর জন্য কড়া মূল্য দিতে হবে। ভুট্টোকে কড়া মূল্য দিতে হয়েছে। মার্কিন প্ররোচনার ফলে পাকিস্তানের তৎকালীন সামরিক প্রশাসক জেনারেল জিয়াউল হক ফাঁসি কাষ্ঠে ঝুলিয়ে ভুট্টোকে হত্যা করেছেন। সারা বিশ্ব জানে যে আমেরিকার প্রত্যক্ষ প্ররোচনা এবং মদদে ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনকে ফাঁসি কাষ্ঠে ঝুলানো হয়েছে তেমনি সাবেক প্রধান মন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোকেও পারমাণবিক বোমা বানানোর জন্য আমেরিকার প্রত্যক্ষ মদদ ও প্ররোচনায় ফাঁসি কাষ্ঠে ঝুলতে হয়েছে।

ভুট্টো জীবন দিয়েছেন কিন্তু পাকিস্তান পৃথিবীর মানচিত্রে টিকে গেছে। পাকিস্তান প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছে যে প্রচলিত অস্ত্রশস্ত্রে বলীয়ান হয়ে ভারত যদি পাকিস্তানে হামলা করে তাহলে পাকিস্তানও তার পারমাণবিক বোমা সহ সর্ব শক্তি নিয়ে ভারতের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়বে। এই এ্যাটম বোমাই ভারতকে পাকিস্তানের ওপর সামরিক হামলা করা থেকে নিবৃত্ত রেখেছে। এই তো কয়েক দিন আগে জঙ্গি হামলাকে ইস্যু করে ভারতীয় জঙ্গি বিমান পাকিস্তানের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছিল। পাকিস্তানও পাল্টা বিমান হামলা করে এবং ভারতের একটি জঙ্গি বিমান ভূপাতিত হয় এবং তাদের পাইলট পাকিস্তানের হাতে বন্দী হন। যে কাশ্মীর নিয়ে ভারতের সাথে পাকিস্তানের বিরোধ সেই কাশ্মীরের জম্মু অংশে কিছু হিন্দু ছাড়া কাশ্মীরের সমস্ত্র জনগণ পাকিস্তানে যোগদানের পক্ষে।
তিন
আর সেটা জেনেই মাত্র ৮০ লক্ষ লোকের দেশ কাশ্মীরে ভারত ৫ লক্ষ সেনা মোতায়েন করেছে। গত দুই দিন হলো ভারত অধীকৃত কাশ্মীরে উদ্বেগজনক সেনা মোতায়েন লক্ষ করা যাচ্ছে। রয়টার্স, এএফপি প্রভৃতি বার্তা সংস্থার সংবাদে প্রকাশ, ভারত সপ্তাহ দুয়েক আগে কাশ্মীরে নতুন করে ২৮ হাজার সৈন্য প্রেরণ করেছে। গত ৩রা আগস্ট বাংলাদেশের একশ্রেণীর পত্র পত্রিকায় খবর বেরিয়েছে যে, অগাস্টের প্রথম দুই দিনে ভারত আরও ১০ হাজার সেনা পাঠিয়েছে কাশ্মীরে। এই নিয়ে এখন কাশ্মীরে সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছে ৫ লক্ষ ৩৮ হাজার। ফলে দেশে এবং বিদেশে এখন উদ্বেগ জনক প্রশ্নঃ- কি করতে যাচ্ছে ভারত কাশ্মীরে? কেন এত সৈন্য চলাচল?

খবরে প্রকাশ, ভারতীয় সৈন্যরা অধিকৃত কাশ্মীরে বাড়ি বাড়িতে তল্লাশী চালাচ্ছে। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল কাশ্মীরে সেনা প্রধানের সাথে এক ঘন্টা বৈঠকের পরে কাশ্মীরে এই অস্বাভাবিক সেনা চলাচল দেখা যাচ্ছে। সেই সাথে শুরু হয়েছে বিপুল পরিমাণে খাদ্য ও জ্বালানি মজুদ।
চার

কেন এই অস্বাভাবিক তৎপরতা, এটা নিয়ে গুজবের শেষ নেই। একটি গুজব হলো এই যে চলতি মাসেই শুরু হবে হিন্দুদের বিশাল অমরনাথ তীর্থ যাত্রা। হাজার হাজার তথা লাখো হিন্দু এই তীর্থ যাত্রায় শামিল হবেন। গুজবে প্রকাশ, এই তীর্থ যাত্রায় ঘটবে প্রচন্ড সন্ত্রাসী হামলা। সেজন্য ভারত সরকার তীর্থ যাত্রী এবং পর্যটকগণকে ঐ সব এলাকা দ্রুত ছাড়তে বলেছেন। আর একটি গুজবে প্রকাশ, ভারতীয় সংবিধানের ৩৫(ক) এবং ৩৭০ ধারা শীঘ্রই বাতিল করা হবে। ৩৫(ক) বাতিল হলে কাশ্মীরের বাইরে ভারতের আর যেসব প্রদেশ রয়েছে সেসব প্রদেশের মানুষ কাশ্মীরে গিয়ে ঘরবাড়ি ও জমি কিনতে পারবেন এবং সরকারি চাকুরি পাওয়ার দাবিদার হবেন। ৩৭০ ধারায় কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। এই ধারা বাতিল হলে সেই বিশেষ মর্যাদা বাতিল হয়ে যাবে।

শুধু কাশ্মীর নয়, বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ মহল থেকে বলা হচ্ছে যে ভারত অধিকৃত কাশ্মীরকে ৩টি প্রশাসনিক ভাগে ভাগ করা হবে। একটি হবে হিন্দু প্রধান জম্মু। জম্মুকে বস্তুত একটি প্রদেশ করা হবে। ভারতের অন্যান্য প্রদেশের মতো জম্মুরও থাকবে একটি বিধান সভা। এই প্রদেশটির আয়তন হলো ১০.২৯ বর্গ মাইল। জনসংখ্যা মাত্র ৫ লাখ ৩ হাজার। অপরটি হবে লাদাখ। লাদাখের আয়তন হলো ২২ হাজার ৮৫৬ বর্গ মাইল। জনসংখ্যা ২ লক্ষ ৭৪ হাজার। আর তৃতীয়টি হলো কাশ্মীর উপত্যকা। আয়তন ৬ হাজার ১৫৮ বর্গ মাইল। জনসংখ্যা ৭০ লক্ষ। এই ৭০ লক্ষ জনসংখ্যার মধ্যে ৯৭.১৬ শতাংশ হলো মুসলমান। বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী ভারত ৫ লাখ জনসংখ্যা অধ্যুষিত জম্মু এবং ২ লাখ অধ্যুষিত লাদাখকে প্রদেশের মর্যাদা দিচ্ছে। কারণ জম্মু হলো হিন্দু প্রধান এবং লাদাখ হলো বৌদ্ধ প্রধান। কিন্তু কাশ্মীর উপত্যকা যেহেতু মুসলিম প্রধান (৯৭.১৬%) তাই এটিকে প্রদেশের মর্যাদা না দিয়ে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল হিসাবে আনা হচ্ছে। কারণ এটিকে যদি প্রদেশের মর্যাদা দেওয়া হয় তাহলে সেখানে থাকবে একটি বিধান সভা এবং একটি মন্ত্রী সভা। সেই মন্ত্রী সভার থাকবে একজন মূখ্য মন্ত্রী। যেহেতু ৯৭.১৬ শতাংশ মানুষই মুসলমান তাই কাশ্মীর উপত্যকা মুসলিম শাসিত থাকবে। এটি বিজেপি সরকার মেনে নিতে পারছে না।

ভারতের বিগত নির্বাচনের পর বিজেপির সভাপতি অমিত শাহকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী করা হয়েছে। এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ছিলেন বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি রাজনাথ সিং। এখন অমিত শাহর মনে কি আছে এবং কাশ্মীরে বিগত ৩ সপ্তাহ ধরে যে অস্বাভাবিক তৎপরতা চলছে সেটা বুঝতে হলে আমাদেরকে আরো কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে।
journalist15@gmail.com

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (9)
Md. Najrul Islam ৬ আগস্ট, ২০১৯, ১:২৩ এএম says : 0
মোদি সরকার মুসলমানদের রক্ত নিয়ে মেতে উঠেছে যা পরিণাম খুবই খারাপ হতে পারে।
Total Reply(0)
Md. Najrul Islam ৬ আগস্ট, ২০১৯, ১:২৩ এএম says : 0
মোদি সরকার মুসলমানদের রক্ত নিয়ে মেতে উঠেছে যা পরিণাম খুবই খারাপ হতে পারে।
Total Reply(0)
William Steve ৬ আগস্ট, ২০১৯, ১:২৩ এএম says : 0
কাশ্মীরীরা স্বাধীনতার ডাক দেক? ইতিহাস সাক্ষী স্বাধীনতাকামীদের সেনা বাহিনী দিয়ে আটকিয়ে রাখতে পারেনি। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান চেয়েছিল পারেনি,ভারত ও পারবে না। #free_Kashmir
Total Reply(0)
Saleem ৬ আগস্ট, ২০১৯, ১:২৩ এএম says : 0
ভারত মূলত কাশ্মীর ক্ষেত্রে সরাসরি ইসরাইলকে কপি করছে। তবে ভারত সফল হতে পারবেনা কারন এটা মিডিলিষ্ট নয়। এ অঙ্চলের ইতিহাস ঐ অঙ্চলের থেকে অনেক আলাদা যুগযুগ ধরে।
Total Reply(0)
Robiul Awal ৬ আগস্ট, ২০১৯, ১:২৪ এএম says : 0
ভারতের মুদি তো হলো, ইসরায়েলের নেতানিয়াহুর ঘনিষ্ঠ বন্ধু! তাহলে বুঝতেই তো পারছেন কাশ্মীরের অবস্থা কি হবে!
Total Reply(0)
Abdul Matin Klgt ৬ আগস্ট, ২০১৯, ১:২৫ এএম says : 0
ইসরাইল নামক বিষাক্ত রাষ্ট্র মৃত্যুভয়ে নিজেদেরকে যেভাবে সুরক্ষিত করে রেখেছে, ভারতের পক্ষে তা সম্ভব হবে বলে মনে করিনা, বরং কাশ্মীর ভারতীয় হিন্দুদের জন্য একটি মরনফাঁদ হতে যাচ্ছে, ইদুরের ফাঁদের মতো বহু হিন্দু ওখানে মারা যাবে বলেই ধরে নিচ্ছি, ইসরাইলের কু-পরামর্শে মোদী ভারতীয় হিন্দু রাষ্ট্রের ধ্বংসের সুচনা করলো। ।
Total Reply(0)
Amin Ullah Lovelu ৬ আগস্ট, ২০১৯, ১:২৬ এএম says : 0
এ যুদ্ধ অবধারিত ,ইনশাআল্লাহ শেষ বিজয় মুসলিমদের হবে বলে অছিয়ত আছে।এদেশ থেকেও ভারত পালাবে।তাদের মুসলিম নামধারী দোসররাও পালাবে ইনশাআল্লাহ ।
Total Reply(0)
Diba Diba ৬ আগস্ট, ২০১৯, ১:২৭ এএম says : 0
কাশ্মীরে যে অমানবিক কার্যক্রম চালাচ্ছে ভারতীয় সরকারী সন্ত্রাসীরা তার পরিনতি ভালো হবে বলে মনে হয়না!! অবশ্যই এ অন্যায়ের প্রতিরোধ করবে কাশ্মীরিরা, হয়ত কাশ্মীরের স্বাধীনতার মাধ্যমে খন্ডবিখন্ড হবে ভারত!!!
Total Reply(0)
Farok Ahamed ৬ আগস্ট, ২০১৯, ১:২৭ এএম says : 0
আমার মনে হয় এই বিলের মধ্যে দিয়ে কাশ্মীরের স্বাধীনতা তরান্বিত হবে ইনশাআল্লাহ, এবং তাদের এই কৌশল বুমেরাং হবে ইনশাআল্লাহ বলে দিলাম লিখে রাখেন সবাই।
Total Reply(0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন