শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অন্ধকারে নবনির্মিত তিন সেতু

মুন্সী কামাল আতাতুর্ক মিসেল : | প্রকাশের সময় : ৭ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০২ এএম

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নবনির্মিত দ্বিতীয় কাঁচপুর, মেঘনা ও গোমতী সেতুগুলোতে এখনো লাইটিং ও বৈদ্যুতিক লাইন স্থাপন না করায় সন্ধ্যার পর শুরু হয় ছিনতাই কারীদের উৎপাত।
ছিনতাইকারীরা গাড়ি পার্ক করে ছিনতাইয়ের জন্য অপেক্ষা করে। নবনির্মিত দ্বিতীয় সেতুগুলো বাণিজ্যিক শহর চট্টগ্রামের সাথে রাজধানী ঢাকার পরিবহন সেবায় স্বস্তি নিয়ে এলেও রাতে সেতুগুলোতে এখন অনেকের কাছে ভয়াবহ আতঙ্কের নাম। সেতুর বাতিগুলোর নিস্ক্রিয়তার কারণেই রাতে এখানে নেমে আসে ভুতুড়ে অন্ধকার। ভয় আর আতঙ্ক নিয়েই সেতুর ওপর দিয়ে চলাচলরত গাড়ির আলো দিয়েই চলতে হয় যানবাহন। রাতের ঘুটঘুটে অন্ধকারের মধ্যেই ঝুঁকি নিয়ে সেতু দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করছে অত্যন্ত ৩৫ হাজার যানবাহন। আর অন্ধকারের কারণেই প্রতিদিনই ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। বাড়ছে মাদকসেবীদের দৌরাত্ম্যও। গত রোববার রাত সাড়ে ১২ টার দিকে সরেজমিন মেঘনা নদীর ওপর নির্মিত প্রায় ৯শ’ মিটার দীর্ঘ এ সেতু ঘুরে দেখা গেছে সেতুটিতে বাতি না থাকায় রাতের অন্ধকারে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে হাজার হাজার যানবাহন। এই সেতুদিয়ে চলাচলরত এশিয়া পরিবহনের ড্রাইভার জসীম উদ্দিন বলেন, সড়কবাতিগুলো না জ্বলার কারণে প্রতিনিয়তই নিরাপত্তাহীনতায় পথ চলতে হয়। টোল আদায় করে কর্তৃপক্ষ লাখ লাখ টাকা পকেটে ভরলেও এদিকে কারো খেয়াল নেই। অন্ধকারাচ্ছন্ন সেতুতে নেশাখোররা ছিনতাইয়ে নামে।
এসব বিষয়ে সেতু দুইটির রক্ষাবেক্ষন কাজের জন্য নিয়োজিত নারায়নগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আলিউল হোসেন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, সেতু তিনটিতে বাতি জ¦লে না বিষয়টির ব্যাপারে আমি অবগত নই। তবে বিষয়টির ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ^াস দিলেও সেতু তিনটির প্রকল্প পরিচালক আবু সালেহ মো. নুরুজ্জামান তিনি দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, সেতুগুলো ২০২০ সালের জানুয়ারী পর্যন্ত কাজের মেয়াদকাল শেষ হবার কথা থাকলেও ঈদে মানুষ দুর্ভোগ লাঘবের কথা চিন্তা করেই আমরা সেতুগুলো নিদিষ্ট সময়ের আগেই তিনটি সেতু খুলে দিয়েছি। তবে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে আমরা সেতু তিনটির লাইটিং ও বৈদ্যুতিক লাইন স্থাপনসহ শতভাগ কাজ শেষ করাতে পারবে বলেন জানান তিনি।
এদিকে কুমিল্লা অঞ্চলের হাইওয়ে পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ডাকাতচক্রের সদস্যদের ধরতে তারা গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করেছেন। জানা যায়, ডাকাতরা নানা কৌশলে মালামাল ভর্তি ট্টাক, কাভার্ডভ্যান চালকদের কখনো হাত-পা বেধে আবার কখনো হত্যা করে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে লুটে নিচ্ছে মালামাল। কখনো বা চলন্ত গাড়ি ব্যারিকেড দিয়েও অস্ত্রের মুখে ছিনিয়ে নিচ্ছে অর্থ, মালামাল। এছাড়াও চলন্ত গাড়ির নিচে রড ছুড়ে গাড়ি চালকদের বিব্রত করে প্রতিনিয়তই ডাকাতি করছে চক্রটি।
এ বিষয়ে হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা অঞ্চলের পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ঈদকে সামনে রেখে হাইওয়ে পুলিশের প্রায় সহস্রাধিক সদস্য যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে দিন রাত সমানতালে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন