গত কয়েক দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা পঞ্চাশের ওপর। রাস্তায় গাড়িগুলো দুমড়েমুচড়ে যাওয়া ও মাইক্রোবাসের ভাঙা অবস্থা দেখে মনে হচ্ছিল, রাস্তায় গাড়িগুলো চলার সময় কোনো নিয়মই অনুসরণ করে না। কতকগুলো কারণে সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে। তবে বেশিরভাগ চালকের প্রতি অভিযোগ রয়েছে- তারা গাড়ি চালানোর সময় নেশাগ্রস্ত থাকে। আর যদি সত্যিই নেশাগ্রস্ত হয়ে কেউ গাড়ি চালায়, তাহলে সড়ক দুর্ঘটনা কখনও রোধ করা সম্ভব হবে না। বেশিরভাগ দুর্ঘটনার পর দোষীর কোনো হদিস পাওয়া যায় না। গাড়ির ফিটনেস না থাকা, নিয়ম না মানা ও বেপরোয়া গতির পাশাপাশি নেশাগ্রস্ত চালক ও গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোনে কথা বলাকে দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ বলা যেতে পারে। তাই ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়ার সময় অবশ্যই চালকের ডাক্তারি পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা উচিত। এ ছাড়া যে গাড়িগুলো দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে, সে গাড়িগুলোর চালকদেরও ডাক্তারি পরীক্ষা করে দেখা উচিত তারা নেশাগ্রস্ত ছিল কি-না। যে হারে সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে তা সত্যিই উদ্বেগজনক। তাই ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়ার সময় সঠিক ব্যক্তি নির্বাচন ও চালকের ডাক্তারি পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
শ্রীপুর, গাজীপুর।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন