কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলা হতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানগামী পশুবাহি ট্রাক দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট দিয়ে পারাপার হচ্ছে। এ সকল ট্রাক ও যাত্রিবাহী যানবাহনের বাড়তি চাপে দৌলতদিয়ায় নদী পারের অপেক্ষায় সিরিয়ালে আটকা পড়েছে কয়েকশ যানবাহন।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বৈরি আবহাওয়ায় ব্যহত হচ্ছে এই নৌরুটে পারাপার।
সরেজমিনে বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, দৌলতদিয়া জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহা সড়কের খানখানাপুর এলাকা পর্যন্ত আট কিলোমিটার এলাকায় জানজটের সৃষ্টি হয়েছে। দুই সাড়িতে আটকে পড়েছে সহ¯্রাধীক যানবাহন। তবে আটকে পড়া যানবাহনের মধ্যে অন্তত ৪০০ কোরবানির পশুবাহি ট্রাক রয়েছে। সময় বাড়ার সাথে সাথে জানজট আরো বাড়বে বলে মনে করছেন ঘাট সংষিøষ্টরা।
এদিকে দালাল চক্রের দৌরাত্ম বন্ধ করতে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করে পরিবহন সংশ্লিষ্টদের সরকার নির্ধারিত ফেরির ভাড়া জানিয়ে অতিরিক্ত কোন টাকা দিতে নিষেধ করা হচ্ছে। কেউ অতিরিক্ত টাকা দাবি করলে ৯৯৯ এ অথবা স্থানীয় প্রশাসনকে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা থেকে ট্রাকে করে গরু নিয়ে আসা আব্দুস সালাম জানান, ১৭টি গরু নিয়ে তারা ৩ ঘন্টা আগে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটের অন্তত ৩ কিলোমিটার দুরে মহাসড়কে সিরিয়ালে আটকা পড়েছেন। তবে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে ভীজে গরুগুলো অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি মো. রবিউল ইসলাম জানান, কোন যানবাহন থেকে কেউ যেন অতিরিক্ত টাকা আদায় করতে না পারে সে জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ফেরির টিকিটের মূল্য তালিকা টাঙিয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া এ ব্যাপারে পরিবহন সংশ্লিষ্টদের সচেতন করতে এবারই প্রথম মাইকিং করা হচ্ছে।
বিআইডব্লিটিসি’র দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ রণি জানান, সাধারন যাত্রীবাহী যানবাহনের পাশাপাশি কুরবানীর পশুবাহী ট্রাক আসতে শুরু করায় বাড়তি চাপ সৃষ্টি হয়েছে। রুটে ১৭টি ফেরি চলাচল করছে। এছাড়া শুক্রবারের মধ্যে রো রো ফেরি শাহ মখদুম ও বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের মেরামত শেষে বহরে যোগ দেয়ার কথা রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন