অর্থনৈতিক রিপোর্টার : দেশের বীমা খাতের সংগঠন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন (বিআইএ) ভাঙনের মুখে পড়েছে। মালিকদের এই সংগঠনে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাদের না থাকার ঘোষণা সংকটে পড়েছে সংগঠনটি। সংগঠন থেকে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাদের বেরিয়ে যাওয়ার বিধি সংশোধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে বিধি সংশোধনের মাধ্যমে বিআইএর নির্বাচন পদ্ধতি, সদস্য পদ, সদস্যপদ বাতিল বা প্রত্যাহার, নির্বাহী কমিটি গঠন, নির্বাহী কমিটির সদস্যদের যোগ্যতা, নির্বাহী কমিটির কার্যাবলীসহ সংঘবিধি ও সংঘস্মারকে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে। এরই মধ্যে বিধি সংশোধনে ৪ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৩টি সদস্য কোম্পানির সমন্বয়ে ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন গঠিত হয়। বর্তমানে এর সদস্য সংখ্যা ৭৪। বিআইএর সদস্য হন মেম্বর কোম্পানির চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান বা মনোনিত ব্যক্তি তথা কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা। আগে নন-লাইফ বীমাকারীর সংখ্যা লাইফ বীমাকারীর সংখ্যার তুলনায় অনেক বেশি থাকায় নন-লাইফ কোম্পানি হতে দশজন এবং লাইফ কোম্পানি হতে পাঁচজন নিয়ে অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়। গত বছরের শেষ থেকে মুখ্য নির্বাহী আলাদা সংগঠন করায় উভয় সংগঠনের মধ্যে টানাপড়েন শুরু। যার শেষ পরিণতি ভাঙনের মাধ্যমে হলো।
গত ৫ মে বীমা কোম্পানির মুখ্য নির্বাহীদের সংগঠন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরামের (বিআইএফ) এক সভায় মুখ্য নির্বাহীরা বিআইএ থেকে পদত্যাগের বিষয়ে এই সিদ্ধান্ত নেন। একইসঙ্গে কোম্পানির পক্ষ থেকেও ওই সংগঠনে প্রতিনিধিত্ব না করার সিদ্ধান্ত নেন তারা।
গতকাল গত ২৬ মার্চ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য রূপালী ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী পি কে রায় পদত্যাগ করেন। এরপর ফেডারেল ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী এ কে এম সরওয়ার্দি চৌধুরী ও পিপলস ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী মোহাম্মদ হোসেন খালেদ পদত্যাগ করেছেন।
মুখ্য নির্বাহীদের ধারাবাহিক পদত্যাগে স্বদেশ লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির চেয়ারম্যান নুরুল আলম চৌধুরীকে আহ্বায়ক করে গত সোমবার একটি কমিঠি গঠন করা হয়। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলো- ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মাহমুদ মাহিন, নিটোল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির চেয়ারম্যান এ কে এম মনিরুল হক ও কর্ণফুলি ইন্স্যুরেন্সের ভাইস চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ পাভেল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন