শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

শিশু জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে নিবন্ধন করতে হবে -স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ৯ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশে শিশুর জন্ম নিবন্ধনের হার সন্তোষজনক নয় বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে সার্বিকভাবে জন্ম নিবন্ধনের হার ৮৭ শতাংশ হলেও শিশু জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধনের হার ৩ শতাংশের নিচে। অথচ বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই শিশুর জন্ম নিবন্ধন করা হয়।

গতকাল বুধবার রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনের মুক্তি হলে স্থানীয় সরকার বিভাগের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন প্রকল্প ও ইউনিসেফ আয়েজিত ‘শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের জন্ম নিবন্ধনের হার বৃদ্ধি এবং বাল্যবিবাহ প্রতিরোধকল্পে জন্ম সনদের ব্যবহার’ শীর্ষক জাতীয় কর্মশালা-২০১৬ উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
‘নির্ভুল নিবন্ধন একবার, বিড়ম্বনা নয় বারবার’ ও ‘জন্ম নিবন্ধন সনদের ব্যবহার বাল্যবিবাহ প্রতিরোধের হাতিয়ার’ সেøাগান নিয়ে কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আব্দুল মালেক। সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) এনএম জিয়াউর আলম ও ইউনিসেফের কান্ট্রি ডিরেক্টর অ্যাডওয়ার্ড বিগবেদার।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, জন্ম নিবন্ধনের হার বাড়াতে হবে। তা না হলে শিশুর জন্ম তারিখ পরিবর্তন করার সুযোগ থাকে। এ অবস্থায় সমাজে বাল্যবিবাহ, অপ্রাপ্ত কিশোরদের শ্রমিক হিসেবে বিদেশগমনের প্রবণতা বাড়ে। তাই শিশুর অধিকার রক্ষায় ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, নিয়ম অনুসারে ৪৫ দিনের মধ্যে শিশুর জন্ম নিবন্ধন করতে হয়। সরকারে কাছ থেকে ১৭ ধরনের সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন সনদ এবং ৪ ধরনের সেবার ক্ষেত্রে মৃত্যু নিবন্ধন সনদের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
এর মধ্যে অন্যতম হল, শিশুর স্কুলে ভর্তি, মেশিন রিডেবল পাসর্পোট (এমআরপি) ইস্যু, বিবাহ নিবন্ধন, ভোটার তালিকা প্রণয়ন, জমি রেজিস্ট্রেশন, ব্যাংক হিসাব খোলা, গাড়ির রেজিস্ট্রেশন করা এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু ইত্যাদি
মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে ২০০১ সালে সর্বপ্রথম জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন পাইলট প্রকল্পের যাত্রা শুরু হয়। ভিশন ’২০২১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০১০ সালের অক্টোবর মাস থেকে জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রম অনলাইন ভিত্তিক করা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন