পাবনায় ডেঙ্গুর প্রকোপ কিছুটা কমলেও একেবারে কমেনি। ডেঙ্গু রোগে অনার্স ভর্তিচ্ছু এক মেধাবী ছাত্রের মৃত্যু । দাপ্তরিকভাবে এই মৃত্যুর খবর স্বীকার করা হয়েছে। এর আগে মন্টু নামে নাজিপুরের একজন মারা যান, তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি ডেঙ্গু না বলে ভিন্ন রোগেও হতে পারে বলে বলা হয়। পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারি পরিচালক ডা: রঞ্জন কুমার দত্তের মতে পাবনায় ডেঙ্গুতে ছাত্র মাহফুজ ব্যতিরেকে আর কারো মৃত্যু হয়নি ।
অপরদিকে, এডিস মশা নিধনে পাবনায় তেমন কোনো তোড়জোড় নেই, কারণ এডিস মশা নিধনে যে ওষুধ টেনিফিস প্রয়োজন সেটি নেই। খালি কামান দাগিয়ে তো আর মশা মারা যাচ্ছে না।
পাবনার সিভিল সার্জন মেহেদী ইকবাল মশা নিধনে বিকল্প পন্থার কথা এই রিপোর্টারকে জানিয়েছেন, তিনি বলছেন, টেনিফিস ব্যতিরেকেও কেমিফিস ওষুধ দিয়েও এডিস মশা অন্যন্য মশা এবং বেলে মাছি নির্মূল করা যায়। প্রায় ২ যুগ আগে পাবনার চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া , ফরিদপুর ও পাশ্ববর্তী এলাকায় বেলে মাছির কারণে ব্যাপকভাবে কালাজ্বর দেখা দেয়। বেলে মাছি নিধনে এই সময় স্বাস্থ্য বিভাগ মাস্টার রোল ভিত্তিক স্প্রে ম্যান দিয়ে কীটতত্ত্ব দপ্তরের সহায়তায় এবং স্থানীয় থানা হেলথ কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ও স্বাস্থ্য সহকারীদের সার্বিক সহযোগিতায় এই বেলে মাছি প্রায় নির্মূল করে ফেলেন। পাবনায় এখন কালাজ্বর নেই বললেই চলে। কিন্তু সিভিল সার্জন দপ্তরের হাতে কেমিফিস ওষুধও নেই। এটা বাইরে থেকেও সংগ্রহ করা যায় , তবে সরকারি বরাদ্দ না পেলে এই ওষুধ ক্রয় করা যাবে না। এখানেও দূরাবস্থা বিরাজমান। কামান আছে, গোলা নেই। পাবনাবাসীকে ডেঙ্গু নামের প্রাণঘাতী জ্বর থেকে নিরাপদ করে জীবন রক্ষা করাও জরুরী। মুখ দিয়ে বললেই এই কাজ হবে তাও নয়, স্প্রে গান ম্যানদের মাঠে নামালে তাদের দিন ভিত্তিক খরচ, কেমিফিস ক্রয়ের অর্থের যোগান কিভাবে হবে? জেলায় স্বাস্থ্য বিভাগ অর্ধ মাসব্যাপী মশক নিধনে ক্র্যাশ কার্যক্রম চালালে ডেঙ্গু মশাসহ অনেক মশা-মাছি দূর হয়ে যেতে পারে। কিন্তু কথা ঐ একটাই মশা নিধনে কামান দাগানো যায় তবে গোলা নেই ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন