মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলায় কোরবানীর গরুর মাংসে একটি টুকরোতে আল্লাহ লেখা ও আরো দুটি টুকরোতে আরবি হরফ মিম লেখা ভেসে উঠেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে সাটুরিয়া উপজেলার দরগ্রাম ইউনিয়নের নওগাও এলাকায় আল মাদ্রাসা হেদায়েতুল ইসলাম নামের একটি মাদ্রাসায়।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ওই এলাকার শত শত উৎসুক জনতা ভিড় করে আল্লাহ লেখা ও মিম লেখা মাংস গুলো একনজর দেখার জন্য।
জানা গেছে, সোমবার ঈদুল আজহার দিন উপজেলার নওগাও গ্রামের কোরবানির গরুর মাংস সমাজের জন্য একত্রে করে ভাগ করে তার থেকে দুটি ভাগ (৩/৪ কেজি) মাংস এলাকার আল মাদ্রাসা হেদায়েতুল ইসলাম এর ছাত্রদের জন্য দেওয়া হয়। পরে দিন মঙ্গলবার মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বাড়িতে মাংস রান্না করার সময় আল্লাহ ও মিম লেখা মাংস গুলো দেখতে পাওয়া যায়।
মাদ্রাসার ছাত্র মো: কবির হোসেন জানায়, মাংসের টুকরোতে আল্লাহ ও মিম লেখা ভেসে উঠেছে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকার শত শত উৎসুক জনতা ভিড় করে আল্লাহ লেখা ও মিম লেখা মাংস গুলো একনজর দেখার জন্য। বর্তমানে আল্লাহ লেখা ও মিম লেখা মাংস গুলো মাদ্রাসার পাশের দোকানের ফ্রিজে রাখা হয়েছে।
বৃহস্প্রতিবার দুপুরে অাল মাদ্রাসা হেদায়েতুল ইসলাম এর অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা সোহাইল অাহম্মেদ জানায়, মঙ্গলবার সকালে মাদ্রাসার ছাত্রদের জন্য কোরবানির মাংস তার স্ত্রী রান্না করার সময় সে মাংস নাড়া দিতে গিয়ে পাতিলের মধ্যে মাংসের উপরে মিম হরফরের মাংসের দুটি টুকরা দেখতে পায়। পরে আরো নাড়লে আল্লাহ লেখা মাংস খন্ডটি দেখে তা তুলে নেয়। পরে স্থানীয় মানুষ জন ও এলাকার মুফতি মোশারফ হোসেনকে দেখালে তিনি নিশ্চিত করেন মাংসের টুকরোতে আল্লাহ ও মিম লেখা ভেসে উঠেছে। মাংসের টুকরোগুলো খাওয়া জায়েজ হলেও তা তারা খাবে না জানিয়ে বলেন পরিস্কার কাপড় দিয়ে বেঁধে মাংস গুলো মাটিতে পুঁতে রাখা হবে।
সাটুরিয়া সৈয়দ কালুশাহ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ জাহিরুল হক খান টিটু বলেন, তিনি নিজ চোখে মাংসে একটি টুকরোতে আল্লাহ লেখা আরো দুটি টুকরোতে অারবি হরফ মিম লেখা গুলো দেখেছেন। এটি একটি অলৌকিক ঘটনা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন