নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলায় জাতীয় শোক দিবসের সমাবেশ করা নিয়ে আওয়ামী লীগের বিবদমান দুই গ্রুপে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ইটপাটকেলে ৫ পুলিশসহ উভয় গ্রুপের কমপক্ষে ২২ জন আহত হয়েছে। আহতদের স্থানীয় বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) রুহুল আমিনের নেতৃত্বে জেলা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে ১৩ রাউন্ড টিয়ারশেল ও ১৩ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। আহতদের মধ্যে রয়েছে নীলফামারী ৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি গোলাম মোস্তফা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল মান্নান বিএ, জলঢাকা থানার এসআই মামুনুর রশীদ, একই থানার কনস্টবেল মেহেদী হাসান, রুবেল হোসেন, নাছির উদ্দিন, সাইফুল ইসলাম, পথচারি শাহিনুর রহমান (৪২), দুলাল হোসেন, সাংবাদিক সেফাউল ইসলামসহ ২২ জন। আহত জলঢাকা থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুলাহ আল মামুনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। অন্যদের স্থানীয় হাসপাতাল ও বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা চলছে।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে জলঢাকা উপজেলা আওয়ামী লীগের দু’টি গ্রুপ পৃথকভাবে ১৫ আগস্ট পালন করে আসছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফার নেতৃত্বে একটি গ্রুপ পৃথকভাবে শোকর্যালিশেষে উপজেলার জিরো পয়েন্টে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পণশেষে সেখানে সমাবেশ করছিল। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আনছার আলী মিন্টুর নেতৃত্বে অপর একটি শোকর্যালি উক্ত সমাবেশস্থলে এসে বক্তব্যরত আব্দুল মান্নানকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে কিলঘুষি মারতে থাকে। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে লাঞ্চিত হন সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফা। সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গোলাম মোস্তফা অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা সভাপতি আনসার আলী মিন্টুর নেতৃত্বে অতর্কিত হামলা চালানো হয় আমাদের ওপর। তাদের হামলায় পুলিশসহ বেশ ক’জন আহত হন। আমরা এ ঘটনায় মামলা দায়ের করবো।
তবে পাল্টা অভিযোগ করে উপজেলা আ. লীগ সভাপতি আনসার আলী মিন্টু বলেন, আগে থেকে নির্ধারিত দলীয় কর্মসুচির আলোকে শোকর্যালী নিয়ে যখন আমরা বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যাই ঠিক সে মুহুর্তে সাবেক এমপি মোস্তফা, সাবেক সভাপতি আব্দুল মান্নানের নেতৃত্বে আমাদের ওপর অতর্তিক হামলা চালানো হয়। এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুহুল আমিন (নীলফামারী সার্কেল) বলেন, দুপুরে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইট পাটকেল নিক্ষেপে ৫ পুলিশ আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ১৩ রাউন্ড টিয়ারশেল ও ১৩ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন