রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের শিক্ষক রাশিদুল ইসলাম এর উপর হামলার বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হবার পর নড়েচড়ে বসেছে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ। ঘটনার এক সপ্তাহ পর রাশিদুল ইসলামের স্ত্রী তাবাসসুম ফারজানা বাদী হয়ে নগরীর বোয়ালিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন।
বোয়ালিয়া থানার ওসি নিবারণ চন্দ্র বর্মণ বলেন, মামলায় অজ্ঞাতনামা মোট আটজনকে আসামি করা হয়েছে। এদের মধ্যে চারজন ছেলে এবং চারজন মেয়ে। তাদের সবার বয়স ১৭ থেকে ২০ বছরের মধ্যে। এর আগে বোয়ালিয়া থানার ওসি বিষয়টি জানতে পেরে নিজেই সাধারণ ডায়েরি করেন। তিনি আরো জানান, আশেপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চেক করা হচ্ছে। যেহেতু ঈদের আগে ওই এলাকায় অনেক ভীড় ছিলো সে কারণে সময় লাগছে।
তবে এ ঘটনার পরপরই টনক নড়েছে প্রশাসনের।
নগরীতে ইভটিজিং বিরোধী অভিযান শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। এ জন্য জেলা প্রশাসন থেকে বিশেষ ভ্রাম্যমাণ আদালত গঠন করা হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেল থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান শুরু করে।
রাজশাহী জেলা প্রশাসকের নিজস্ব ফেসবুক আইডিতে বলা হয়েছে ইভটিজিং বিরোধী ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান শুরু করা হয়েছে। এটি চলতে থাকবে। সাথে সাথে অনিয়ন্ত্রিত গতিতে মোটরসাইকেল চালনা, নিরিবিলি বসে গাঁজা বা মাদক সেবন ইত্যাদির বিরুদ্ধেও অভিযান চলবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন