বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের নতুন চেয়ারম্যান অজিত কুমার পাল বলেছেন ‘সুগার মিলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঘুষ-দুর্নীতি বন্ধ করতে পারলেই লোকসান কমানো সম্ভব হবে’। এজন্য মিলের শ্রমিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সততা ও ন্যায়-নিষ্ঠার সাথে অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে হবে। গতকাল শনিবার দুপুরে ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়ায় অবস্থিত পাবনা সুগার মিলের আখ চাষি ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে আনুষ্ঠানিক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, চিনি শিল্প লোকসানের অন্যতম কারণ মিলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঘুষ-দুর্র্নীতি। এই ঘুষ-দুর্র্নীতি বন্ধ করতে হবে। এই শিল্প প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার পর থেকেই লোকসান গুনে আসছে। অথচ এর কোন জবাবদিহিতা নেই। সবাইকে জবাবদিহিতার আওতায় আসতে হবে। সকল প্রকার লোভ-লালসার উর্ধ্বে থেকে সকলকে কাজ করতে হবে। চিনি শিল্পের এই দুরাবস্থা কাটিয়ে উঠতে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই চিনি শিল্পের সমস্যা নিরসন করা হবে বলেও ঘোষণা দেন তিনি।
আখ চাষিদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগামী মৌসুমে মিলে আখ সরবরাহ করার এক সপ্তাহের মধ্যেই টাকা পরিশোধ করা হবে। তিনি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেন, আমি ঘুষ-দুর্নীতি করি না, কাউকে করতে দেব না। আখ চাষ বাড়াতে কৃষকদের আস্থা ফেরাতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমি কথা দিচ্ছি আপনারা পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন আখ সরবরাহ করবেন, আমি নিজে ঘরে ঘরে গিয়ে টাকা পরিশোধ করে আসবো। পাবনা সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুস সেলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের পরিচালক (ইক্ষু উন্নয়ন ও গবেষণা) মো. মোশারফ হোসেন, বাংলাদেশ আখচাষি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব শাজাহান আলী বাঁদশা ও সিবিএ সভাপতি সাজেদুল ইসলাম শাহীন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন