নারায়ণগঞ্জে ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেফতারকৃত পুলিশের সোর্স শামীমের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাকে সহযোগিতার অভিযোগে বন্দর থানার দুই এএসআইকে সাময়িক প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেলে এএসআই আমিনুল ও আনোয়ারকে বন্দর থানা থেকে প্রত্যাহার করে নারায়ণগঞ্জের মাসদাইর পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, নারায়ণগঞ্জে ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে চাঁদাবাজীর সময়ে এলাকাবাসীর গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছে পুলিশের সোর্স হিসেবে পরিচিত শামীম নামের এক যুবক। এ সময় তাকে সহযোগিতা করা পুলিশের দুই এএসআই দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে আসে। শনিবার সন্ধ্যায় বন্দর উপজেলার সাবদি এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরো জানায়, ঈদ উপলক্ষে বন্দর উপজেলার সাবদী এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে অস্থায়ীভাবে অনেক দোকানপাট গড়ে উঠে। আর এসব দোকানপাট থেকে ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দিয়ে পুলিশের সোর্স শামীম প্রতিদিনই টাকা উঠাতো। আর তাকে সহযোগিতা করতো বন্দর থানার এএসআই আমিনুল ও আনোয়ার। প্রতিদিনের মতো এএসআই আমিনুল ও আনোয়ার এবং তাদের সোর্স শামীম শনিবার বিকেলে সাবদি এলাকার বিভিন্ন দোকান থেকে টাকা তুলতে যায়। এলাকাবাসী ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দানকারী পুলিশের সোর্স শামীমের কাছে পরিচয় পত্র দেখতে চাইলে সে দেখাতে পারেনি। এতে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে শামীমকে গণধোলাই দিয়ে আটক কওে রাখে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে এএসআই আমিনুল ও আনোয়ার দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়ে। পরে বন্দর থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে শামীমকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
বন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আজহারুল ইসলাম জানান, এলাকাবাসীর অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে শামীম নামের এক যুবককে আটক করেছি। এ ঘটনায় পুলিশের কোন সদস্য জড়িত কিনা তদন্ত করে দেখা হবে।
বন্দর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, রোববার বিকেলে এএসআই আমিনুল ও আনোয়ারকে সাময়িক প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে নেওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত হবে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেফারকৃত শামীম এর বিরুদ্ধে মামলার হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন