শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

বেতন বকেয়া রেখে হঠাৎ গার্মেন্ট বন্ধ

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২২ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০১ এএম

গার্মেন্ট বন্ধ দেখে শ্রমিকরা রাস্তায় নেমে অবরোধ করে। গতকাল রাজধানীর শ্যমলী এলাকায় -সংগৃহীত


ঈদের পর বিনা নোটিশে তিনটি পোশাক কারখানা বন্ধ করে দেয়ার প্রতিবাদে রাজধানীর শ্যামলী বাস টার্মিনাল এলাকায় সড়ক অবরোধ বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা। গতকাল বুধবার সকাল থেকে তারা শ্যামলীর প্রধান সড়কের দুইপাশে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। এরপর দুপুর ১২টায় পুলিশের মধ্যস্ততায় মালিকপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসে তাদের একটি প্রতিনিধি দল। পাশাপাশি শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ তুলে নেয়।
সরেজমিনে শ্যামলী এলাকায় দেখা যায়, সড়ক অবরোধের কারণে শ্যামলী থেকে কলাবাগানগামী সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এই সড়কে থেমে থেমে যান চলাচল করে। তবে বিপরীত পাশে যানবাহনের তেমন চাপ লক্ষ্য করা যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সকাল সাড়ে ৭টায় শ্যামলী বাস টার্মিনাল এলাকায় গার্মেন্টস শ্রমিকরা রাস্তা বন্ধ করে দেয়। পুলিশ তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিলে শ্রমিকরা চলে যায়। এরপর আবার সাড়ে নয়টা থেকে শত শত শ্রমিক সড়কে অবস্থান নিলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন হাজার হাজার মানুষ।

ওই সূত্র জানায়, ঈদের ছুটির পর বুধবার শ্যামলীর আলিফ অ্যাপেয়ারেলস ১, ২ ও আলিফ গার্মেন্টস নামের এ তিনটি কারখানা খোলার কথা ছিল। সে অনুযায়ী গতকাল সকালে শ্রমিকরা কারখানায় আসার পর দেখেন যে, ফটকে কারখানা বন্ধের নোটিশ ঝোলানো। এরপর তারা সড়ক অবরোধ করে।

শ্রমিক আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ঈদের ছুটি শেষে সকালে গার্মেন্টস খোলার কথা ছিল। এসে দেখি বিনা নোটিশে তা বন্ধ করা হয়েছে। আমাদের দাবি হচ্ছে, কর্তৃপক্ষ কারখানা খুলে দিক। যদি বন্ধ করে তবে তিন মাস আগে থেকে জানিয়ে বন্ধ করবে। দাবিগুলো মেনে না নিলে আমরা অবরোধ চালিয়ে যাব। গতকাল ১২টার দিকে মালিকপক্ষ ও গার্মেন্ট শ্রমিকের প্রতিনিধি দল পুলিশের সহযোগিতায় আলোচনায় বসলে অবরোধ তুলে নেয় শ্রমিকরা। এ সময় যান চলাচল শুরু হয়।

তেজগাঁও বিভাগের ডিসি আনিসুর রহমান জানান, আলিফ গ্রুপের ৩টি গার্মেন্টস হঠাৎ করে বন্ধ পেয়ে রাস্তায় নামেন শ্রমিকরা। তারা বিজিএমইএ ভবনে যাবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে তারা সড়ক অবরোধ করে রেখেছিল। ১২টার পর মালিক পক্ষ, বিজিএমইএর প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাদের বসার ব্যবস্থা করা হয়। ফলে সড়কে এর পর থেকে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বন্ধ করে দেয়া আলিফ গার্মেন্টসের সহকারী ম্যানেজার মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন বলেন, সকাল সাড়ে ১১টার পর সড়ক ছেড়ে দেয়া হয়েছে। মালিক পক্ষের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে শ্রমিকদের। মালিক পক্ষ গার্মেন্টস না চালালেও শ্রম আইন অনুযায়ী যে সুযোগ-সুবিধা দেয়া হয় তা দেয়া হলে কোনো সমস্যা হবে না। আলোচনা হয়েছে এবং আরো চলবে বলে তিনি জানান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন