ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যন ও নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী এক বিবৃতিতে বলেছেন, তিস্তা নদীর পানি বন্টন চুক্তি ও অভিন্ন ৫৪টি নদীর পানি বন্টনের বিষয়টি আবারো ভারতের প্রতিশ্রুতির প্রাচীরে আবদ্ধ হলো। অভিন্ন ৫৪টি নদীর পানি বন্টনের ক্ষেত্রে দুটি দেশ নতুন ফর্মুলা খুঁজবে। এনআরসি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর এসব বিষয়ে কথার ফুলঝুরি ফুটিয়ে এদেশের আবেগপ্রবণ মানুষকে মাতিয়ে তোলার প্রয়াস চালিয়ে গেছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, অভিন্ন ৫৪টি নদীর পানি বন্টনের ক্ষেত্রে দুটি দেশ সবেমাত্র নতুন ফর্মুলা খোঁজার কথা বলা হয়েছে। অথচ ইতোমধ্যে ভারত অভিন্ন ৫৪টি নদীর মধ্যে ৩৮টির উজানে ড্যাম, ব্যারেজ ও গ্রোয়েন নির্মাণ করে একতরফা পানি প্রত্যাহারের ফলে একদিকে সমুদ্রের লোনা পানি ধীরে ধীরে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করছে। অপর দিকে পাতাল পানি রিচার্জ না হওয়ায় পানির স্তর ধীরে ধীরে নীচে নেমে যাচ্ছে। ফলে রাজধানী ঢাকায়ও পানি সঙ্কট দেখা দিচ্ছে। তিনি বলেন, ভারত শুস্ক মওসুমে এক তরফাভাবে পানি প্রত্যাহার করে, আর বর্ষাকালে অতিরিক্ত পানি ছেড়ে দিয়ে বাংলাদেশে বন্যার সৃষ্টি করে।
তিনি বলেন, পশ্চিম বঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির অনমনীয় মনোভাবকে অজুহাত তুলে তিস্তা নদীর পানি বন্টন চুক্তি সম্পাদন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে ভারত । অথচ পানি বন্টন চুক্তির অভাবে তিস্তা নদী আজ মারাত্মক বিপর্যয়ের সম্মূখীন। ফলে ফারাক্কার মাধ্যমে যেমন দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের গঙ্গা অববাহিকায় মরুকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তিস্তা অববাহিকায়ও অনুরুপ পরিস্থিতির উদ্ভব হচ্ছে।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক আইন মোতাবেক কোনো দেশ অভিন্ন নদীর উজানে কোনো কাঠামো নির্মাণ করতে হলে অবশ্যই এর ভাটিতে বসবাসকারী জনপদের ওপর বিরুপ প্রতিক্রিয়ার কথা ভাবতে বাধ্য।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন