সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিবেশগত ছাড়পত্র দেয়া হয়নি জাতীয় সংসদে মঞ্জু

প্রকাশের সময় : ১০ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেছেন, রামপালে নির্মিতব্য খুলনা ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য এখনও পরিবেশ অধিদফতর থেকে পরিবেশগত ছাড়পত্র দেয়া হয়নি। পরিবেশগত প্রভাব সমীক্ষা (ইআইএ) প্রতিবেদনে প্রস্তাবিত শর্তগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হলে সুন্দরবনের ক্ষতি হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই।
গতকাল সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য এ কে এম মাঈদুল ইসলামের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ হলে সুন্দরবনের কোনো ক্ষতি হবে না। এটি হলে স্থানীয় জনগণের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে, মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়বে এবং সুন্দরবনের ওপর স্থানীয় মানুষের নির্ভরশীলতা হ্রাস পাবে।
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের অবস্থান প্রাকৃতিক জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ সুন্দরবনের কাছের এলাকায় হওয়ায় প্রকল্পের পরিবেশগত প্রভাব সমীক্ষা এনভায়রনমেন্টাল ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট (ইআইএ) প্রতিবেদন প্রণয়নের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি সুপার ক্রিটিক্যাল টেকনোলজির হবে। প্রস্তাবিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড অপারেশন ফেস-এ সুন্দরবনের ওপর যেন কোনো ধরনের নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে সে জন্য আলোচ্য প্রকল্পের ৫৯টি শর্ত আরোপ করে ইআইএ প্রতিবেদন অনুমোদন করা হয়। সুতরাং, ইআইএ প্রতিবেদনে প্রস্তাবিত শর্তগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হলে সুন্দরবনের ক্ষতি হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ হলে সুন্দরবনের কোনো ক্ষতি হবে না আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি।
সংসদে মন্ত্রী বলেন, বর্ষা মৌসুমে মাছ ধরার এলাকা নির্বিঘœ করতে স্থানীয় দুষ্কৃতকারীরা সুন্দরবনে অবৈধভাবে আগুন লাগিয়েছিল, যা তদন্তে পাওয়া গেছে এবং যারা দোষী সাব্যস্ত হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দশম জাতীয় সংসদের একাদশতম অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য এস এম মোস্তফা রশিদীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
এসব মামলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ২ জনকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করেছে। এছাড়া কর্তব্যে অবহেলার জন্য ৪ জন বনকর্মীকে সাময়িক কর্মচ্যুত করা হয়েছে।
নোয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য মো: মামুনুর রশীদ কিরণের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বনায়নে বিদেশী প্রজাতির চারা রোপণের পরিবর্তে দেশীয় দ্রæত বর্ধনশীল প্রজাতির চারা রোপণের বিষয়ে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। প্রতি বছর বন বিভাগ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প, জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ড প্রকল্প এবং রাজস্ব বাজেটের আওতায় বনায়নের পদক্ষেপ নিয়েছে।
২০১৬-১৭ অর্থবছরে বাজেট বরাদ্দ সাপেক্ষে ৮ হাজার ৭০০ হেক্টর বøক বাগান এবং ১ হাজার ২০০ কিলোমিটার স্ট্রিপ বাগান সৃজনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে মন্ত্রী জানান।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন