টেকনাফ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী কর্তৃক ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি ওমর ফারুককে হত্যার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ, ভাংচুর, ও বিক্ষোভ স্থানীয় জনসাধারণ। এসময় তারা রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নুর মোহাম্মদ মাঝি বাড়ীতে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়।
সকাল সাড়ে ১০টায় বিক্ষুব্ধ স্থানীয় জনতা বিক্ষোভ মিছিল করে হত্যায় জড়িত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নুর মোহাম্মদ মাঝির বাড়িতে আগুন দেয়। এর পর সড়কে রোহিঙ্গাদের দোকান-পাট ভাংচুর করে এবং সড়ক অবরোধ করে।
বিক্ষোভ চালাকালিন সময় বিভিন্ন এনজিও সংস্থার গাড়ী ও অফিস ভাংচুর করা হয়। সড়কে আগুন জ্বালিয়ে গাছ ফেলে অবরোধ করায় সড়কের উভয় পাশে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়।
ঘটনা স্থালে সেনা বাহিনী, পুলিশ ও বিজিবি রয়েছে। সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের আশ্বাসে ৩ঘন্টা পর অবরোধ প্রত্যাহার বিক্ষুব্ধ জনতা।
উল্লেখ্য একদল রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী ২২ আগষ্ট রাতে টেকনাফে হ্নীলায় নিজ বাড়ীর সামনে থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে যুবলীগ নেতা ওমর ফারুককে (৩০) হত্যা করে।
নিহত ওমর ফারুক উপজেলার হ্নীলা ইউপি’র জাদিমোরা এলাকার মোনাফ কোম্পানির ছেলে এবং হ্নীলা ৯নং ওয়ার্ড যুবলীগ ও জাদিমোরা এম আর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বৃহস্পতিবার (২২ আগষ্ট) রাত ১০.৩০টায় রোহিঙ্গা ডাকাত সর্দার সেলিমের নেতৃত্বে একদল অস্ত্রধারি সন্ত্রাসী ওমর ফারুকে নিজ বাড়ীর সামনে থেকে তুলে নিয়ে পাহাড়ে পাশে গুলি করে হত্যা করে।
খবর পেয়ে নিহতের ভাই আমির হামজা ও উসমানসহ স্বজনরা লাশ আনতে গেলে ডাকাত দল লাশ আনতে বাধা দেয়।
এই রির্পোট লেখা পর্যন্ত (রাত ১২ টা) লাশ ঘটনান্থলে ছিল। এই ঘটনার সাতে প্রত্যাবাসন বিরোধী একদল সন্ত্রাসী রোহিঙ্গা জাড়িত বলে জানাগেছে। এই ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে স্থানীয় জনগন।
এমনিতেই বিভিন্ন সময় রোহিঙ্গাদের অপকর্মে স্থানীয়রা অতিষ্ঠ। ২২ আগষ্ট রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরতে রাজি না হওয়ায় ব্যর্থ হয়েছে প্রত্যাবাসন। এর উপর যুবলীগ নেতা হত্যার বিষয় নিয়ে টেকনাফ শুধু নয়, গোটা কক্সবাজারের মানুষ এখন রোহিঙ্গা ও এনজিওদের উপর ক্ষুব্ধ।
স্থানীয়রা মনে করেন, এনজিওদের প্ররোচনায় রোহিঙ্গারা নানা শর্ত দিয়ে মিয়ানমারে ফিরে যেতে চাচ্ছেনা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন