স্টাফ রিপোর্টার : রোগীদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে দেশে চালু হতে যাচ্ছে কাঠামোগত রেফারেল পদ্ধতি। পাইলট আকারে রংপুর ও নীলফামারী জেলায় এই রেফারেল পদ্ধতি চালু করা হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার স্ট্রাকচারাল রেফারেল পদ্ধতি সম্পর্কে আয়োজিত এক কর্মশালায় এ কথা জানানো হয়। সকালে বাংলাদেশ মেডিকেল এ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) ভবনের মিলনায়তনে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) প্রফেসর ডা. আবুল কালাম আজাদ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল) প্রফেসর ডা. সামিউল ইসলাম সাদি। বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-ভিসি এবং বিএম-এর সাবেক সভাপতি প্রফেসর ডা. রশিদ-ই মাহবুব, রোগতত্ত¡-রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক প্রফেসর ড. মাহমুদুর রহমান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের মহাপরিচালক আসাদুল ইসলাম, বিএমএ’র সভাপতি প্রফেসর ডা. মাহমুদ হাসান, মহাসচিব প্রফেসর ডা. এম ইকবাল আর্সলান, বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিক্যাল প্র্যাকটিশনার অ্যাসোসিয়েশন ও প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রফেসর ডা. মনিরুজ্জামান ভূঁইয়া ও মহাসচিব প্রফেসর ডা. জালাল উদ্দিন, রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ডা বরকত উল্লাহসহ নিলফামারী ও রংপুর জেলার সিভিল সার্জন। এছাড়া কর্মশালায় স্বাস্থ্য বিভাগের পদস্থ কর্মকর্তা ও গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, সরকারি হাসপাতালগুলোতে রোগ ও রোগীর প্রকৃতিভেদে সঠিক রেফারেল পদ্ধতি চালু করা সম্ভব হলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় অধিকতর ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। বর্তমানে দেশে ওয়ার্ডভিত্তিক কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন সাব সেন্টার, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলা হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন টারশিয়ারি হাসপাতালের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের ব্যবস্থা থাকলেও কার্যকর রেফারেল পদ্ধতি না থাকায় কোন রোগী কোথায় যাবে, কোন চিকিৎসক কোন রোগী দেখবেন, কতটুকু অসুস্থ হলে কোন পর্যায়ের হাসপাতালে যাবেন তা বুঝতে পারেন না।
বক্তারা, স্থানীয় পর্যায়ে জনবল সংকট রেফারেল পদ্ধতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে উল্লেখ করে জনবল সংকট নিরসনে পদক্ষেপ গ্রহণ এবং কেন্দ্র থেকে কঠোর মনিটরিংয়ে জোর দেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন