১৫ বছরের দাম্পত্য জীবনে কোনো সন্তান নেই শফিকুর রহমান ও স্ত্রী সালমা বেগম দম্পতির। একটি সন্তানের আশায় তারা ধর্ণা দিয়েছেন ডাক্তার-কবিরাজ, ফকির-দরবেশসহ নানা চিকিৎসালয়ে। বহু চিকিৎসার পর অবশেষে ১১ মাস পূর্বে তাদের কোলজুড়ে আসে একটি পুত্রসন্তান। তবে গভীর রাতে মা-বাবার পাশে থেকে ঘুমন্ত অবস্থায় চুরি হয়ে যায় ১১ মাস বয়সের শিশুটি।
জানা গেছে, গত শুক্রবার রাতে উপজেলার মুদাফরগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের শ্রীয়াং দক্ষিণ পাড়ার রাজন ভূঁইয়া বাড়ির শফিকুর রহমান ও স্ত্রী সালমা বেগম শিশুটিকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। ভোররাতে ঘুমন্ত অবস্থায় চোর কৌশলে ঘরের দরজা খুলে মা-বাবার পাশ থেকে শিশুটিকে চুরি করে নিয়ে যায়। সকালে ঘুম থেকে উঠে সন্তানকে না পেয়ে মা-বাবা চিৎকার-কান্নাকাটি করতে থাকে। এ সময় বাড়ির লোকজন ছুটে আসে। আশপাশের ঘরে খোঁজাখুঁজির পর এলাকার বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করা হয়।
সংবাদ পেয়ে কুমিল্লা জেলা সহকারী পুলিশ সুপার (লাকসাম সার্কেল) ইমরান রহমানসহ পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ওই ঘটনায় শিশুটির পিতা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করে। গতকাল রোববার ভোর প্রায় রাত ৩টায় নিজ বাড়ি থেকে প্রায় ১ কি.মি. দূরে পার্শ্ববর্তী মনোহরগঞ্জ উপজেলার কেশতলা গ্রামের রাস্তার পাশের মসজিদের পেছনে একটি শিশুর কান্নাকাটির শব্দ পেয়ে ইমাম স্থানীয়দের জানায়। আশপাশের লোকজন এসে শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ শিশুটিকে থানায় নিয়ে আসে এবং আদালতের মাধ্যমে মা-বাবার কাছে হস্তান্তর করে। হারানো সন্তানকে ফিরে পেয়ে বুকে জড়িয়ে ধরে মা-বাবা দুজন কান্নায় ভেঙে পড়েন।
এ বিষয়ে লাকসাম থানার ওসি মো. নিজাম উদ্দিন জানান, চুরি হওয়া শিশুটিকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে রাস্তার পাশের একটি মসজিদের পেছন থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে মা-বাবার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন