রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

কাশ্মীরের ‘আযাদীর’ সমর্থনে ঢাবিতে সিনেমা

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ২৭ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০৮ এএম

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের আযাদী আন্দোলনের সমর্থনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) আয়োজন করা হয়েছে সিনেমা প্রদর্শনীর। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসির সঞ্জীব চত্বরে ‘আযাদীর জন্য সিনেমা’ প্রতিপাদ্যে ‘জোনাকি গলির কারখানা’ নামক সাংস্কৃতিক সংগঠন এ সিনেমা প্রদর্শনীর আয়োজন করে। এতে সংহতি প্রকাশ করে ডাকসুর ভিপি, লেখক, গবেষক ও বিভিন্ন বাম সংগঠনের নেতারা বক্তব্য রাখেন।
অন্যতম সংগঠক মাহফুজ আবদুল্লাহ আয়োজনের বিষয়ে বলেন, গত ৫ই আগস্ট কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের সূত্র ধরে কাশ্মীরের আযাদীর প্রশ্নটি আবারও সামনে এসে হাজির হয়েছে। গত তিন সপ্তাহ ধরে কাশ্মীর অবরুদ্ধ হয়ে আছে। এ প্রেক্ষিতে কাশ্মীরের আযাদী নিয়ে আমাদের মধ্যকার বোঝাপড়া মজবুত করতে এবং সক্রিয় রাজনৈতিক অবস্থান নেবার তাগিদ জোরদার করতে আমরা কাশ্মীর নিয়ে কয়েকটি ডকুমেন্টারি এবং শর্ট ফিল্ম দেখানোর আয়োজন করছি।
আয়োজনে সংহতি জানিয়ে ডাকসু ভিপি নুরুল হক নূর বলেন, আমাদের সংবিধানে বলা আছে, বাংলাদেশের মানুষ বা রাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থা ঔপনিবেশিকবাদ সাম্রাজ্যবাদ, বর্ণবাদ এগুলোর বিরুদ্ধে বিশে^র সর্বত্র নিপীড়িত মানুষের পক্ষ অবলম্বন করেছে। সুতরাং সাংবিধানিক জায়গা থেকেও আমরা নির্যাতিত, নিপীড়িত মানুষের প্রতি সংহতি প্রকাশ করছি।

ভারতের প্রতি আহ্বান জানাবো, তারা যেন এর সুষ্ঠু সমাধান করে এবং বিশ্ব সম্প্রদায়কেও কাশ্মীরের বিষয়ে সচেতন থাকার আহ্বান জানাবো। কারণ, এখানে যেন বসনিয়া বা মিয়ানমারের মতো জাতিগত নিধনের চেষ্টা না করা হয়। সে জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের দায়িত্ব রয়েছে যে, এ বিষয়ে উদ্বিগ্ন এবং ওয়াকিফহাল থাকার।
গবেষক ও কলামিষ্ট আলতাফ পারভেজ বলেন, বিশেষ সুবিধা সম্বলিত ৩৭০ ধারা দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার তুলে নেয়ার প্রতিবাদে সেখানে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। কাশ্মীর, সিকিম, ভুটান এই অঞ্চলগুলোর অভিজ্ঞতা বলছে বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলংকার জন্য পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। ফলে এই দেশগুলোর নিজেদের স্বার্থে কাশ্মীরের আযাদী সংগ্রামের সঙ্গে সংহতি জানানো অনিবার্য। তিনি আরও বলেন, কাশ্মীরের আযাদীর সংগ্রামের সঙ্গে বাংলাদেশ সাংবিধানিকভাবে যুক্ত হওয়াটা ন্যায্য। আমাদের সংবিধানে আছে, পৃথিবীর যেখানে কোনো নির্যাতিত, নিপীড়িত সংগ্রাম হবে তার সঙ্গে বাংলাদেশ সংহতি জানাবে। কাশ্মীরের সংহতির জায়গা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যে মিছিল করেছে এবং সিনেমা প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে আমি মনে করি এটি একটি অগ্রসর কর্মসূচি। আমি তার সঙ্গে সংহতি জানাচ্ছি।
সিনেমা প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে সংহতি প্রকাশ করে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অনিক রায়, ছাত্র ফেডারেশনের ঢাবি শাখার সভাপতি আবু রায়হান খান, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর ঢাবি শাখার আহ্বায়ক উলুল উমর অন্তর প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শোয়েব আবদুল্লাহ। সংহতি প্রদান করে বক্তব্য প্রদান শেষে কাশ্মীরের স্বাধীনতা আন্দোলন নিয়ে একটি ডকুমেন্টরি প্রদর্শন করা হয়।##

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন