শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

পোস্টাল কলোনীর বাসা বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ

প্রকাশের সময় : ১১ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা জিপিও’র শেয়ারের মতিঝিল পোস্টাল কলোনীর সরকারি বাসা বরাদ্দে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
বাসা বরাদ্দের নীতিমালা অনুযায়ী জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে যে অপেক্ষমাণ তালিকা তৈরি করা হয়েছিল তা উপেক্ষা করে জুনিয়র কর্মচারীদের কোয়ার্টার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তালিকায় নাম নেই, এমনকি কোয়ার্টারের জন্য আবেদন করেনি, এমন কর্মচারীর নামেও নীতি ভঙ্গ করে খেয়াল-খুশিমতো কোয়ার্টার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগীরা।
সম্প্রতি এই অনিয়মের কথা তুলে ধরে এবং প্রতিকার চেয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের কাছে চিঠিও দিয়েছেন তারা। ওই চিঠিতে অভিযোগ করা হয়, মতিঝিলের পোস্টাল কলোনীতে ঢাকা জিপিও’র শেয়ারের কোয়ার্টার খালী হওয়ায় তা পুনরায় বরাদ্দের জন্য গত ৭ ফেব্রæয়ারি বাসা বরাদ্দের সভা অনুষ্ঠিত হয়।
কোয়ার্টার বরাদ্দের নীতিমালা অনুযায়ি বৈধ ইউনিয়ন প্রতিনিধিদের সদস্য হিসেবে রাখার বিধান থাকলেও তা করা হয়নি। এমনকি ৭ ফেব্রæয়ারির সভায় কোন সিদ্ধান্ত না নিয়েই ২ মে একতরফাভাবে কোয়ার্টার বরাদ্দের কোন সভা না করে সম্পূর্ণ বিধি বহির্ভূতভাবে সভা দেখিয়ে ১৪টি কোয়ার্টার বরাদ্দ দেয়া হয়। জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে যে অপেক্ষমাণ তালিকা তৈরি করা হয়েছিল তা উপেক্ষা করে জুনিয়র কর্মচারীদের কোয়ার্টার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তালিকায় নাম নেই এমনকি কোয়ার্টারের জন্য আবেদন করেনি এমন কর্মচারীর নামেও নীতি ভঙ্গ করে খেয়াল খুশিমতো কোয়ার্টার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
এছাড়া দুইজন কর্মচারীকে চিরকুট ও মৌখিক নির্দেশে গত ফেব্রæয়ারিতে নিয়ম বহির্ভূতভাবে বসবাস করার অনুমতি দেয়া হয়। এমনকি তাদের কাছ থেকে বাসা ভাড়াও কেটে নেয়া হয়নি। ফলে সরকার রাজস্ব বঞ্চিত হয়েছে।
অভিযোগে আরও বলা হয়, দুই-তিনজন কর্মচারীকে সরাসরি বাসার মান উন্নয়ন করে নতুনভাবে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এবং পূর্বে যে বাসার অ্যালোটি ছিল তা উল্লেখও করা হয়নি। অন্যদিকে ২০১১ সালের ১৭ আগস্ট মোশারফ হোসেন নামে একজন পোস্টম্যানকে কোয়ার্টার বরাদ্দ দেয়া হলেও তিনি এখনো সেই কোয়ার্টারে উঠতে পারেননি। অথচ তার চেয়ে জুনিয়র কর্মচারীকে সেই কোয়ার্টার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এমনকি সিনিয়রদের বাদ দিয়ে দেড় থেকে ৫ বছর চাকরি হয়েছে এমন কর্মচারীদেরকেও বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এজন্য ওই চিঠিতে বরাদ্দ নিয়ে অনিয়মের সরেজমিন তদন্ত করারও দাবি জানানো হয়।
এ বিষয়ে বাসা বরাদ্দ কমিটির দায়িত্বে থাকা সিনিয়র পোস্টমাস্টার আজাদুল ইসলাম বলেন, বাসা বরাদ্দের যে নীতিমালা রয়েছে সেটি অনুযায়ী বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, যারা বরাদ্দ পায় না তারা অনেক সময় অভিযোগ করে থাকেন।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন