বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

চাঁদা না দেয়ায় ফুল ব্যবসায়ীকে ছাত্রলীগ নেতার মারধর

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ২৯ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০১ এএম

চাঁদা না দেওয়ায় ‘বিএনপি কর্মী’ আখ্যা দিয়ে শাহবাগে এক ফুল ব্যবসায়ীকে মারধর করেছে ছাত্রলীগের এক কেন্দ্রীয় নেতা। গতকাল বুধবার বিকাল সাড়ে চারটার দিকে শাহবাগ ক্ষুদ্র ফুল ব্যবসায়ী সমিতির কার্যালয়ে এই মারধরের ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত নেতা সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির নাট্য ও বিতর্ক সম্পাদক জুয়েল মোল্লা। মারধরের শিকার শাহবাগ বটতলা ক্ষুদ্র ফুল ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ।

ফুল ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা জানান, ঈদুল আযহার আগে ঈদের বকশিশ হিসেবে সমিতির নিকট চাঁদা দাবি করেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নাট্য ও বিতর্ক বিষয়ক সম্পাদক জুয়েল মোল্লা। কিন্তু সেসময় চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানান সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ। তবে শামীম আহমেদ ছাত্রলীগের বিভিন্ন কর্মসূচীর ফুল বিনামূল্যে দেওয়ার সম্মতি জানান।

পরবর্তীতে ১৫ আগস্ট ছাত্রলীগের শোক দিবসের কর্মসূচীতে দুইটি ‘ফুলের ডালা’ বিনামূল্যে নিয়ে যান তিনি। ফুল নিলেও চাঁদার দাবিতে মাঝেমধ্যেই ফোন দিতেন জুয়েল। একপর্যায়ে বুধবার বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে ফুল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি কামাল মিয়াকে ফোন দেন জুয়েল। তিনি জুয়েলকে ব্যবসায়ী সমিতির কার্যালয়ে আসতে বলেন। জুয়েল বিকাল সাড়ে চারটার দিকে কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক বায়েজীদ কোতোয়ালসহ ছয়জন নেতাকর্মী নিয়ে শাহবাগ বটতলা ক্ষুদ্র ফুল ব্যবসায়ী সমিতির কার্যালয়ে আসেন।

ভুক্তভোগীর বক্তব্য অনুযায়ী, শামীম আহমেদকে ‘বিএনপি কর্মী’, ও বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচীতে বিনামূল্যে ফুল দেওয়ার অভিযোগ করেন। কিন্তু শামীম অভিযোগ অস্বীকার জানালে তাকে থাপ্পড় দেন জুয়েল। এসময় সেখানে জুয়েলের সঙ্গে উপস্থিত ছয় জনের মধ্যে চারজন মারধরে অংশ নেন।

মারধরের বিষয়ে শাহবাগ বটতলা ক্ষুদ্র ফুল ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ বলেন, ‘ঈদের আগে থেকেই চাঁদার জন্য ফোন দিতেন। কিন্তু জুয়েলকে ব্যবসার অবস্থা ভালো না বলে চাঁদা দিতে অস্বীকার করি। কিন্তু তিনি আমাকে ও সমিতির সভাপতিকে মাঝেমধ্যেই ফোন দিতেন। সর্বশেষ বুধবার বিকালে এসে আমি নাকি বিএনপি করি বলে আমাকে মারধর করেন।’
তবে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে জুয়েল মোল্লা বলেন, ‘চাঁদা চাওয়ার অভিযোগ সত্য নয়। আমি খবর পেয়েছি শামীম বিএনপি করে। একইসঙ্গে সে বিএনপি-জামায়াতপন্থী ৫/৭টি দোকানের পৃষ্ঠপোষকতা করে। আমি এসে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চেয়েছি। মারধর করি নাই।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন