শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

স্কুলছাত্রকে কোপানোর পর চলন্ত গাড়ির নিচে ফেলে হত্যা!

রংপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩০ আগস্ট, ২০১৯, ৩:৩২ পিএম

রংপুর নগরীর টেক্সটাইল মোড় এলাকায় আব্দুর রশীদ (১১) নামে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রকে কুপিয়ে আহত করে চলন্ত গাড়ির নিচে ফেলে হত্যা করেছে দুবৃর্ত্তরা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানায়, আব্দুর রশীদের বাড়ি সাতগাড়া মিস্ত্রিপাড়া এলাকায়। তার বাবার নাম শহিদার রহমান। কয়েকদিন আগে রশিদের বড় ভাই মোহনের (৩০) কাছে ৫০০ টাকা দাবি করে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী মোজাফফর হোসেন। তিনি টাকা না দেওয়ায় তাকে মারধর করে সন্ত্রাসী মোজাফফর। এ ঘটনার বিচার দাবি করে মোজাফফরের বাবা কামালের কাছে অভিযোগ করেন রশীদের বড় ভাই মোহন। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় মোজাফফর। 
বৃহস্পতিবার রাতে রশীদ টেক্সটাইল মোড়ে বাজার করে বাড়ি ফেরার পথে সন্ত্রাসী মোজাফফর ও তার সহযোগীরা রশীদকে আটক করে লাঠি দিয়ে পেটায় ও ছোরা দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। একপর্যায়ে রংপুর-ঢাকা মহাসড়কে রশীদকে চলন্ত একটি গাড়ির নিচে ফেলে দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় রশীদ। পরে এলাকাবাসীর সহায়তায় লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রশীদের ফুফু নাজমা বেগম জানান, ‘আমি জরুরি কাজে টেক্সটাইল মোড় দিয়ে যাওয়ার সময় দেখতে পাই আমার ভাতিজা রশীদকে সন্ত্রাসী মোজাফফর, তার সহযোগী মন্টি, জয়, বেলালসহ কয়েকজন লাঠি আর ছোরা দিয়ে কোপাচ্ছে। আমি দৌড়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে রশীদকে রক্ষা করার চেষ্টা করি। কিন্তু সন্ত্রাসীরা আমাকে ফেলে দিয়ে রশীদকে কোপাতে থাকে। এ সময় ওই মহাসড়ক দিয়ে একটি বাস আসার সময় সন্ত্রাসীরা চলন্ত বাসের নিচে রশীদকে ফেলে দিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে।’
নিহত রশীদের বড় ভাই মোহন অভিযোগ করেন, ‘মোজাফফর এলাকার সন্ত্রাসী। সে যার তার কাছে টাকা টাকা দাবি করে, জোর করে টাকা কেড়ে নেয়। স্কুল-কলেজের মেয়েদের ওড়না ধরে টান দেয়। তার প্রতিবাদ করলেই দল বল নিয়ে হামলা চালিয়ে কুপিয়ে আহত করে। আমি টাকা দেইনি এবং তার বাবার কাছে বিচার দিয়েছি। এ কারণে আমার ছোটভাইকে এভাবে হত্যা করা হয়েছে।’
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানার ওসি আব্দুর রশীদ জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তিনি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।
কোতোয়ালি থানার এসআই রফিক জানান, লাশ ময়নাতদন্তের পর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। পরে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নেওয়া হবে। রশীদের লাশ হাসপাতালের মর্গে থাকায় তার স্বজনসহ এলাকাবাসী সেখানে অবস্থান করে খুনিদের বিচার দাবি করেছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন