শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

আরসিএল প্রধানকে দুদকে হাজিরের নির্দেশ

২৫০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

সাদিক মামুন, কুমিল্লা থেকে : | প্রকাশের সময় : ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০০ এএম

রুরাল কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের (আরসিএল) আমানত ও ডিপোজিট স্কিম প্রকল্পে অর্থ বিনিয়োগ করে কুমিল্লাসহ বেশ কয়েকটি জেলার কয়েক হাজার পরিবার ওই হায় হায় কোম্পানীর কারণে এখন দিশেহারা। আরসিএলের সদস্য ও আমানতকারিদের পক্ষে বিনিয়োগের অর্থ আত্মসাত বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) দায়ের করা অভিযোগের প্রেক্ষিতে আরসিএল এমডি শাহজাহানকে দুদকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সাধারণ মানুষকে বিভিন্ন প্রলোভন ও অধিক অর্থের মুনাফা প্রাপ্তির লোভ দেখিয়ে ২০০৩ সালে কুমিল্লার লাকসাম উপজেলা সদরে অফিস ভাড়া নিয়ে তৎকালীন জামায়াত নেতা মুহাম্মদ শাহজাহান আরসিএল নামে মাল্টিপারপাস প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু করেন।

তিনি প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি)। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান অফিস লাকসাম কেন্দ্রিক হওয়ায় কুমিল্লা অঞ্চলের আড়াই হাজারের বেশি গ্রাহক আরসিএলে অর্থ বিনিয়োগ করে। আরসিএল প্রধান শাহজাহানের কথার ফাঁদে পড়ে তার হায় হায় কোম্পানীতে সারাদেশে ১৮টি শাখার মাধ্যমে প্রায় ২৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে সাধারণ মানুষ। তার মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির প্রায় আড়াই হাজার গ্রাহকের একটি বড় অংশ কুমিল্লার।
দুদকে দায়ের করা অভিযোগে জানা যায়, ২০১১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত আরসিএল নামের প্রতিষ্ঠানটির কোন অডিট রিপোর্ট জমা হয়নি। এ সুযোগে সদস্যদের জমাকৃত আমানত এফডিআর ও শেয়ারের নামে যে আমানত গ্রহণ করা হয়েছে সে টাকায় শাহজাহান নিজের নামে নাঙ্গলকোটের হরিপুর মৌজায় ১২ শতক, বাঙ্গড্ডা মৌজায় ৫০ শতক, সদর দক্ষিণের শ্রীবল্লবপুর মৌজায় ২৮ শতক, তিতাস উপজেলার গোপালপুর মৌজায় ৫শতক, আদর্শ সদর উপজেলার গোবিন্দপুর মৌজায় ১৬শতক, লাকসাম উপজেলার মুদাফ্ফরগঞ্জ মৌজায় ১৯ দশমিক ৫০শতক জমি ক্রয় করে তা পরবর্তীতে বিক্রি করে টাকা আত্মসাত করেন।

এছাড়াও আরসিএলে বিনিয়োগ কার্যক্রম চলাকালীন সময়ে ঢাকায় তাকওয়া গার্মেন্টসে বিনিয়োগ করা ১০ কোটি টাকা, সাপ্তাহিক কুমিল্লা নামক পত্রিকায় বিনিয়োগের ৫০ লাখ টাকা, মৎস প্রকল্পে ৪৫ লাখ টাকা, স্বাস্থ্য প্রকল্পে সাড়ে ৪ কোটি টাকা, অটোরাইচ মিলে ১ কোটি টাকা, মাস্টার ডেইরি ফার্মে ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা, পোলট্টি ফার্মে ৩৫ লাখ টাকা, পরিবহন প্রকল্পে ৫ কোটি টাকা, আরসিএল হাউজ (শো-রুমে) ৮ কোটি টাকা, আরসিএল ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেষ্টমেন্ট কোম্পানী প্রতিষ্ঠা করার নামে ১০ কোটি টাকা, ভ‚মি উন্নয়ন ব্যাংক করার নামে ৫ কোটিসহ প্রায় ২৫০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়। গত ২৮ জুলাই আরসিএলের সদস্য ও আমানতকারিদের পক্ষে সাবেক সভাপতি ও পরিচালকদের ৬জন দুদকে অভিযোগ করেন।

দুদকের সহকারী পরিচালক জাফর ইকবাল জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিষয়টি তদন্ত করছে কমিশন এবং একই সাথে আরসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মুহাম্মদ শাহজাহানকে কমিশনে হাজির হয়ে অভিযোগের বিষয়ে জবাব দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকরা আরসিএল প্রতারণার ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন